সর্বদা সমাজের ভালো করার চেষ্টা করেছেন ডাঃ বালাসাহেব ভিখে পাটিল। গ্রাম ও দরিদ্রদের সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, তার উপর তিনি সবথেকে বেশি জোর দিয়েছিলেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। মঙ্গলবার ডাঃ বালাসাহেব ভিখে পাটিলের আত্মজীবনী উন্মোচন করার পর এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ডাঃ বালাসাহেব ভিখে পাটিলের আত্মজীবনী উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও প্রভারা গ্রামীণ শিক্ষা সোসাইটির নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘লোকনেতে ডাঃ বালাসাহেব ভিখে পাটিল প্রভারা গ্রামীণ শিক্ষা সোসাইটি’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেও। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পবিত্র অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোয়, আমি রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিল, তাঁর পরিবার এবং আহমেদনগরের সমস্ত মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বালাসাহেব ভিখে পাটিলের আত্মজীবনী হয়তো আজ প্রকাশিত হচ্ছে, কিন্তু তাঁর জীবনাদর্শ মহারাষ্ট্রের সর্বত্র মিলবে। মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য বালাসাহেব ভিখে পাটিল কীভাবে নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন, তা আমিও দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রী কথায়, সত্তা ও রাজনীতির মাধ্যমে তিনি সর্বদা সমাজের ভালো করার চেষ্টা করেছেন। গ্রাম ও দরিদ্রদের সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, তার উপর তিনি বেশি জোর দিয়েছিলেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। গ্রাম, গরিব ও কৃষকদের দুঃখ অনেক সামনে থেকে দেখেছেন ও বুঝেছেন বালাসাহেব ভিখে পাটিল। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, মহারাষ্ট্রের গ্রামগুলিতে পানীয় ও সেচ জলের সমস্যা দূর করা নিয়ে সর্বদা প্রয়াসরত ছিলেন বালাসাহেব। মহারাষ্ট্রের জল পরিষদের মাধ্যমে তিনি এই লক্ষ্যে একটি জন আন্দোলন তৈরী করা চেষ্টা করেছিলেন।প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, এই প্রথমবার কৃষকদের আয় নিয়ে চিন্তা করা হয়েছে। কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমএসপি লাগু করা অথবা বাড়ানো হোক, ইউরিয়ার নীম কোটিং হোক, কৃষকদের সমস্ত ধরনের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করেছে সরকার। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের ছোট ছোট খরচের জন্য অন্য কারও কাছে যাওয়া থেকে মুক্তি মিলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে।
2020-10-13