হাথরসের নির্যাতিতার বাড়ির ১.৫ কিমি আগেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকাল পুলিশ

হাথরসের নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে আটকে দিল যোগী রাজ্যের পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতাবালা ঠাকুর এবং প্রতিমা মণ্ডলদের শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে আটকে দেওয়া হয় বলে তৃণমূলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

দলীয় বিবৃতিতে বলা হয়, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল দিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরসে পৌঁছায়, কিন্তু পুলিশ তাঁদের আটকে দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, তাঁদেরকে ভিতরে যেতে দেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশের কাছে বারবার অনুরোধ করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু তা সত্বেও মেলেনি প্রবেশাধিকার। সাফ জানানো হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় ঢোকা যাবে না গ্রামে।

প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে তৃণমূলের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ওই পরিবারটির সঙ্গে দেখা করতে ও সমবেদনা জানাতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আমরা আলাদা আলাদা ভাবে এগোচ্ছিলাম ও সমস্ত প্রোটোকল বজায় রেখে এগোনো হচ্ছিল। আমরা সশস্ত্র নই। কেন আমাদের থামানো হয়েছে? এটা কেমন ধরনের জঙ্গলরাজ যেখানে যেখানে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ওই শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হল? এই মুহূর্তে আমরা হাথরসে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে দেড় কিমি দূরে রয়েছি।”

উল্লেখ্য, হাথরসের নির্যাতিতার গ্রামে গতকাল থেকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না বাইরের কাউকে। এমনকি সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে এমন ভিডিওও সামনে এসেছে।

গতকাল হাথরাস পৌঁছনোর আগেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পথ আটকায় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। গ্রেটার নয়ডায় তাঁদের কনভয় ঢুকতেই পথ আটকায় পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান রাহুল গান্ধী। অভিযোগ, রাহুল গান্ধীকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। রাহুলকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

হাথরাসের তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে ফুঁসছে দেশ। পাশবিক নির্যাতনের পর ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ওই তরুণীকে প্রথমে আলিগড়ের জেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে দিল্লির এইমসে ভরতি করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পুলিশ এইমসের বদলে তাঁকে সফদরজং হাসপাতালে এনে ভরতি করে।

একটানা দু’সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার হার মানেন ওই তরুণী। আর গোটা ঘটনায় প্রথম থেকেই যোগী পুলিশের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তা এবং সহায়তা না করার অভিযোগ তুলে আসছে তরুণীর পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.