নির্বাচন কমিশন গড়িমসি করছে। কিছুতেই উপনির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে চাইছে না। নানা গালভরা কথা বললেও কাজ কিছুই হচ্ছে না। এদিকে রাজ্যের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে দাওয়াই দিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি এই মামলায় ‘পক্ষ’ হিসেবে যুক্ত করা হতে পারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও।
একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর প্রায় চার মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু তার পরও রাজ্যের দু’টি কেন্দ্রে নির্বাচন এবং পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কোনও অগ্রগতি হচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক পদ শূন্য হলে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করতে হয়। কিন্তু সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। তাই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করছেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই বিষয়ে আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাজ্যে উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়। কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক পদ খালি থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক মানুষ সমস্যায় পড়েন। তাই সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন করা উচিত। দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখন উপনির্বাচনের সময়সীমা পেরিয়ে যেতে বসলেও নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি কমিশন। তাই মামলা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে নির্বাচন এবং ভবানীপুর, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা এবং গোসাবায় উপনির্বাচন করার কথা। যদিও রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনই নির্বাচন করাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে বকেয়া আসনগুলির উপনির্বাচনের সময়সীমা। ফলে সেপ্টেম্বর মাসই উপযুক্ত সময়। যদিও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।