কালীঘাটের শারদোৎসবে বিজেপিকে রুখতে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক

কালীঘাটের শারদোৎসবের আঙিনায় বিজেপিকে রুখতে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রটে যায় কালীঘাট এলাকার সংঘশ্রী ক্লাবের শারদোৎসবের কমিটিতে সভাপতিত্ব করবেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে প্রায় নাক বরাবর দূরে এই পুজো কমিটিতে বিজেপি নেতাদের অংশগ্রহণ চিন্তায় ফেলে দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্বকে। রাসবিহারী কেন্দ্রের অন্তর্গত সংঘশ্রী ক্লাবের পুজোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকেই আসরে নামতে হয়‌ মুখ্যমন্ত্রীর সহোদরকে।

রবিবার সংঘশ্রী ক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়ে যায় বিজেপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে তাদের পুজোয় ঢুকতে দেওয়া হবে না। তার আগে শনিবারই বৈঠক ডেকেছিলেন পুজো কমিটির সভাপতি শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ও। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকের একটাই সিদ্ধান্ত, বিজেপি আর্থিক সাহায্য করতে চাইলেও তা নেওয়া হবে না। সংঘশ্রী ক্লাবের কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন এই পুজোর উদ্বোধন হোক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে। তাই সংঘশ্রীর মত দক্ষিণ কলকাতার এক ঐতিহ্যশালী পুজোয় কোনওরকম রাজনৈতিক রঙ লাগাতে নারাজ তারা।

তাই বিতর্কের মাঝে রবিবার খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে এদিন সংঘশ্রী ক্লাবে এসেছিলেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার পুজোয় বিজেপির প্রবেশ প্রসঙ্গে কার্তিক বলেন, “এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছোট, হয়তো মিনি স্কার্ট পরতেন, তখন থেকে সঙ্ঘশ্রীর ঠাকুর দেখতে আসেন। এখানে সব ধর্ম, সব বর্ণের মানুষ আছেন। এখানে আমি বহু দিন আছি। সঙ্ঘশ্রী ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। এখানে রাজনীতি ঢোকানো মুশকিল। কিন্তু এই যে বার বার রাজনীতি আনার চেষ্টা হচ্ছে, এটা এলাকার মানুষ মেনে নেবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.