ভোকাল ফর লোকাল এর পক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বললেন যোগী আদিত্যনাথ

নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ মিশনকে আরও ব্যাপক পরিমানে সফল করার জন্যে প্রশাসনিক উদ্যোগ নিতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ।

একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী সাংসদ এবং বিধায়কদের একসাথে কাজ করতে, উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতির উপর নজর রাখতে, স্থানীয় ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাতে এবং স্থানীয় পণ্যের প্রচারের জন্য সম্মেলন আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈঠকের সময়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে সাংসদ এবং বিধায়কদের উচিত তাদের এলাকায় নদী ড্রেজিংয়ের কাজ পর্যবেক্ষণ করা। নদী ভাঙন এবং বন্যা সমস্যা মোকাবিলার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নদীতে কাজ চালিয়ে যেতে এবং এ ধরনের প্রকল্পে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। যোগী বলেন যে‚ সাংসদ এবং বিধায়কদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় এই কাজগুলি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

তিনি উন্নাও এবং হারদোই-এর সাংসদ এবং বিধায়কদের এলাকায় ইকো-ট্যুরিজম প্রচারের জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টার জন্য একসাথে কাজ করতে বলেছেন। কারন এটি রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াবে। একইভাবে লখনউয়ের পর্যটন ব্যবসাকে বাড়াতে কুকরাইল পিকনিক স্পটের কাছে একটি নাইট সাফারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের তাদের নিজের নিজের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে সংযুক্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সামুহিক বিবাহ প্রকল্পের অধীনে বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আর মাতৃভূমি প্রকল্পের অধীনে তাদের সাথে আলাপচারিতা করতে বলেছেন।

এই মাতৃভূমি প্রকল্পের দ্বারা সাধারণ নাগরিকরা তাদের শহর বা গ্রামের উন্নয়নে অংশ নিতে পারে এবং রাস্তার উন্নয়ন, কলের জলের ব্যবস্থা, ভাল আইন-শৃঙ্খলা, সংযোগ ইত্যাদির মতো রাজ্যে বাস্তবায়িত বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচির ব্র্যান্ডিং করতে পারে। তিনি আরো বলেন যে তাদের উচিত রাজ্য সরকারের নতুন শিল্প নীতির ব্যাপক প্রচার করা। এবং জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং পলিটেকনিকগুলিতে তরুণদের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করতে হবে। তিনি বলেছেন যে বিধায়ক ও সাংসদরা হল নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর।

১০ই থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী লখনউতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন গ্লোবাল ইনভেস্টরস সামিট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে রাজ্য জুড়ে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য অনুষ্ঠানের আগে স্থানীয় সম্মেলন অবশ্যই করা উচিত। গ্লোবাল এবং স্থানীয় রোডশোয়ের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বিনিয়োগ আসছে। লখনউ, উন্নাও এবং হারদোই জেলাগুলিতে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুগ্ধ, টেক্সটাইল, জৈব জ্বালানি এবং সৌর শক্তির মতো সেক্টরে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বড় কোম্পানিগুলি লক্ষ্ণৌ প্রতিরক্ষা করিডোরে নিজেদের ইউনিট স্থাপন করতে চাইছে। এসবের দ্বারা উত্তরপ্রদেশ অবশ্যই আরো অনেক উন্নত হয়ে উঠবে।

©সৌভিক দত্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.