নিঃশব্দে চলতে থাকা পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক বিপ্লবের সাক্ষী এবার বাঁকুড়া, ঘর ওয়াপসি ঘটলো বাবলু শেখের পরিবারের, পূর্বপুরুষের ধর্মে ফিরে বহু দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে অভিভূত ‘কৃষ্ণ ভক্ত’ চম্পা বিবি (চম্পা দাস), নাজমা (সরস্বতী) ও সুইটি(অনিন্দিতা)

সংবাদ জগতের লাইমলাইটের বাইরে, অনেকটা নিঃশব্দেই বলা যেতে পারে ঘটছে একের পর এক ‘ঘরে ফেরার’ পালা। পশ্চিমবঙ্গে যে চোরাস্রোত বইছিলো তারই ঘটছে বহিঃপ্রকাশ।
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সদর আদালতে হলফনামা দিয়ে নিজেদের পূর্বপুরুষের সনাতনী শিকড়ে ফিরে এল এক মুসলিম পরিবার।
ইসলামের কট্টরতাই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে বাবলু শেখ হলো বাবলু দাস, বাবলুর স্ত্রী চম্পা বিবি হলো চম্পা দাস, তাঁদের দুই মেয়ে নাজমা খাতুন হলো সরস্বতী দাস এবং সুইটি খাতুন হলো নন্দিতা দাস।
আলাপচারিতায় বাবলু জানালেন ২০০৯ সাল থেকে ঘরে ফেরার তাগিদ সত্বেও তাদের দীর্ঘ এক যুগ সময় লেগে গেল ‘বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে।

হিন্দু একটিভিস্টদের সাথে যোগাযোগ করে বাবলু তাঁর ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গে হিন্দু সংহতির বক্তব্য,”দুর্ভাগ্য তাদের নয়, দুর্ভাগ্য আমাদের। কারণ হিন্দু সমাজ উৎসাহ দেখায় নি, উদ্যোগ নেয় নি তাদের বুকে টেনে নেওয়ার।”

সংগঠনের নেতা কর্মীদের বাবলু তাঁর বাড়িতে আসার নিমন্ত্রণ জানান। ওই বাড়িতে গিয়ে সযত্নে পাতা ঠাকুরের আসন দেখে, শেখের পরিবারের হিন্দু ধর্ম, পুজো ও জীবনধারার প্রতি শ্রদ্ধা দেখে সংহতির কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন এটা আর কিছুই নয় সমাজে বয়ে যাওয়া চোরাস্রোতের বহিঃপ্রকাশ মাত্র ।

গোপালের ছবি সমন্বিত ঠাকুরের আসন দেখে বোঝা যায় নিত্য পুজো হয় ওই পরিবারে। কথায় কথায় জানা যায় নিষ্ঠা ভরে এক যুগের উপর পুজো করে গেছেন চম্পা বিবি এই আশায় যে একদিন পূর্বপুরুষের ধর্মে ফিরবেন তাঁরা। পরে মায়ের সাথে পুজোয় যোগদান করে দুই মেয়ে সুইটি ও নাজমা।

সংহতির নেতাদের বক্তব্য,”কেউ স্বীকৃতি দিক বা না দিক, তাদের একলব্যের সাধনায় বাধ সাধতে পারে নি কোনও শক্তি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঁকুড়ার কয়েকজন স্থানীয় হিন্দু অ্যাক্টিভিস্টের উদ্যোগেই আজ বাবলুদের স্বপ্ন পূরণ হল।

হিন্দু সংহতির নেতাদের মতে একদিন সবাই সনাতনের ছায়াতলে ফিরে এসে মুক্তির স্বাদ আস্বাদন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.