ভারতমাতার অঙ্গচ্ছেদের পরেও কি ভারত স্বস্তি পাবে না?

ভারতের স্বাধীনতাকে যাঁরা ‘ঝুটা আজাদি’ বলেছেন তারা বা তাদের বংশধরেরা অনেকেই এই যদৃচ্ছালব্ধ স্বাধীনতার বৃত্তিভোগী হয়ে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের চেয়েও রাজসিক এবং নিশ্চিন্ত ভোগবিলাসিতায় কালাতিপাত করছেন। আর মহাত্মা গান্ধীর মতো স্বপ্ন দ্রষ্টারা, যাঁরা স্বাধীন ভারতকে রামরাজ্য দেখতে চেয়েছিলেন তাদের হতাশা ‘রামরাজ্য তো দূরস্থান, রামের নামে ধ্বনি শুনলেই কেউ কেউ উগ্র মূর্তিতে তেড়ে আসেন। জ্ঞানবানরা বলবেন— গান্ধীজীর ‘রামরাজ্য’ ছিল একটি আর্থ সামাজিক অবস্থান যা পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের রাজত্বের মতো প্রজা সাধারণকে ন্যায় ও সুবিচার দেবে— কেউ কষ্টে আছেন। জানলে রাজা শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন না’ তবুও বলবো বর্তমান ভারতে উদ্দিষ্ট রামরাজ্য অসম্ভব মনে হলেও ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিটি স্বাধীন ভারতে অপাঙক্তেয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উগ্রতাই রাজ্যে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে বাড়াবাড়িতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
মহাত্মার অস্পৃশ্যতার বিরদ্ধে আপোশহীন সংগ্রামের পরে আজও কি ভারতবর্ষ অস্পৃশ্যতা এবং জাতিভেদের অভিশাপ থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে আসতে পেরেছে? উচ্চ-নীচ ভেদাভেদের তাত্ত্বিক প্রারম্ভ আর্য যুগে শুরু হলেও, জন্মসূত্রে ওই প্রভেদ চালু হয় পরবর্তীকালে, আর বঙ্গপ্রদেশে জাঁকিয়ে বসে লক্ষ্মণ সেনের সময়। শুধু মাত্র হিন্দু ধর্মে জাত বিরোধ নয়, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সংঘাত মোচনে অনেক মহামানব সচেষ্ট ছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সনাতন ধর্মকে ‘সব ধর্মের জননী স্বরূপ ব্যাখ্যা করেও বলেন, “আমি সেই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত বলে গৌরব বোধ করছি, যে ধর্ম জগৎকে শিখিয়েছে পরমত সহিষ্ণুতা এবং সর্বৰ্জনকে গ্রহিষ্ণুতার আদর্শ। আমরা শুধু সব ধর্মকে সহ্যই করি না—সব ধর্মকে সত্য মনে করি। পরাধীন ভারতে যে সামাজিক ও রাজনৈতিক অবক্ষয় দেখে স্বামীজী ব্যথিত হয়েছিলেন তা থেকে কি ভারতমাতা মুক্তি পেয়েছে? বিবেকানন্দ বলেছেন, দেশের জনসাধারণকে অবহেলা করাই আমাদের প্রবল জাতীয় পাপ এবং অবনতির প্রধান কারণ। ভারতের দুই মহাপাপ মেয়েদের পায়ে দলানো এবং জাতি জাতি করে গরিব গুলোকে পিষে মারা’। স্বামীজী আশা ব্যক্ত করে বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকায় ইতর জাতিরা জেগে উঠে লড়াই করছে, ভারতেও তার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। হাজার চেষ্টা করেও ভদ্রজাতেরা ছোটো জাতদের দাবাতে পারবে না। ইতর জাতের ন্যায্য অধিকার। পেতে সাহায্য করলেই ভদ্রজাতের কল্যাণ। বিবেকানন্দ পুনরায় বলেছেন, “যাহারা লক্ষ লক্ষ দরিদ্র ও নিষ্পেষিত নর-নারীর বুকের রক্ত দ্বারা অর্জিত অর্থে শিক্ষিত হইয়া বিলাসিতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত থাকিয়াও উহাদের কথা একটি বার চিন্তা করিবার অবসর পায় না— তাহাদিগকে আমি বিশ্বাসঘাতক বলিয়া অভিহিত করি। স্বাধীন। ভারতের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে স্বামীজী বর্ণিত ‘বিশ্বাসঘাতকদের দাপাদাপিতে ভারতমাতা ক্রন্দরতা।
প্রসঙ্গত, ‘ব্রাহ্মণ-শ্রেষ্ঠ’ ধারণাই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতবর্ষকে পিছিয়ে রেখেছে। অথচ অত্রিমুনি বর্ণিত জাতি বিবর্তনের কষ্টিপাথরে বিচার করলে ক’জন ব্রাহ্মণ খুঁজে পাওয়া যাবে? অত্রি সংহিতায় বলা আছে, ‘মানুষ জন্ম মাত্রেই শূদ্র, সংস্কারের দ্বারা দ্বিজ হয়, দ্বিজত্ব অর্জনের পরে বেদ পাঠের মাধ্যমে বেদ জ্ঞান লাভ হলে বিপ্র হয় এবং বেদজ্ঞান প্রভাবে ব্রহ্মকে জানতে পারলে ব্রাহ্মণ হয়। অথচ জন্মগত জাত্যাভিমান বর্তমান ভারতের জাতি সংঘর্ষের একটি বড়ো কারণ। তবে তথাকথিত নিম্নজাতের লোকেরা শিক্ষা এবং পেশাগত অগ্রগমনের ফলে ব্যবহারিক জীবনে এবং বৈবাহিক সম্পর্কে ও তথাকথিত উচ্চবর্ণের সঙ্গে আবদ্ধ হওয়ায় সামাজিক ভেদাভেদ কিছুটা কমেছে। তা ছাড়াও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ এবং পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা নিম্নবর্গের মানুষদের ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত করেছে। স্বাধীন ভারতের নিম্নবর্গের লোকেদের রক্ষাকবচ হিসেবে বহু আইন বাবিধি প্রণীত হয়েছে—তার যথাযথ প্রয়োগ না হলেও ওইগুলো সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা বা অপরাধ নিবৃত্তিকরণের কাজ করছে। তবুও বলবো ‘জাতের নামে যে বজ্জাতি’ এখনো হচ্ছে তা আমাদের জাতীয় লজ্জা, যদিও তার প্রকোপ বা প্রাবল্য ক্ষীয়মাণ।
ভারতীয় গণতন্ত্রে অগ্রগতির আর একটি বড়ো অন্তরায় জাতীয় সংহতি অর্জনে ঐকমত্যের অভাব। এমনকী ভারতের ঐতিহ্যগত আদর্শ যা এই মহান দেশকে একসূত্রে গ্রথিত করেছে এবং এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা প্রদান করে যেমন বন্দে মাতরম্ বা ‘ভারতমাতা কী জয়’ এতাদৃশ ‘জাতীয় ধ্বনি বা স্লোগানেও এক শ্রেণীর রাজনৈতিকদের আপত্তি বা বিরোধিতা স্বাধীন ভারতে অকল্পনীয়— কিন্তু বর্তমান। কে না জানেন যে পরাধীন ভারত ভূমির শৃঙ্খলা মোচনের সংগ্রামে ওই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে কত দেশপ্রেমিক দেশমাতৃকার বেদিতে আত্মহুতি দিয়েছেন। যেমনটি হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। ওই দেশে আজ যদি কেউ বলেন যে ইসলামিক নয় বলে ওই স্লোগানটির বিরোধী বাংলাদেশের মানুষ তাকে ক্ষমা করবেন তো? প্রসঙ্গটি এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে জাতীয়তা বিরোধী যে কোনো উদ্যোগ বা অবস্থান জাতীয় ঐক্য বা অখণ্ডতার পরিপন্থী। কেননা এ ধরনের মনোভাব জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ তৈরিতে ইন্ধন জোগায় যা জাতি দাঙ্গার কারণ এমনকী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহিত করে। একটি ধর্মীয় সংগঠনের নেতা ত্বহা সিদ্দিকির একটি সমাবেশের বক্তব্য এখানে প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেছেন, মুসলমান সমাজকে কেউ যেন দুর্বল না ভাবেন তারা চাইলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে কলকাতায় ফাইনাল খেলতে পারেন। প্রতিবাদকের জিজ্ঞাসা— ত্বহা সাহেব কি সুবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সুরাবর্দি সাহেবের ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্টের (জুম্মাবার) গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর কথা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন?
৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে একটি বক্তব্য পরিষ্কার করে বলাই ভালো। দ্বিজাতিতত্ত্বে ভারতমাতার অঙ্গচ্ছেদের পরেও কি স্বস্তি পাবে না ভারত? তাহলে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমরা যা পেয়েছি সত্যিই কি ‘ঝুটা-আজাদি? শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির এবং শতসহস্র স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদান কি বৃথা যাবে? একদিন যারা Muslims’ right of selfdetermination তত্ত্ব আউরে ভারতবর্ষের সমন্বিত স্বাধীনতা আন্দোলনে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন, তারা একথাটা ভেবে দেখতে পারেন। কারণ, দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হিন্দু-মুসলমান’বিভাজনকে স্থায়ী রূপ দিয়েছে। তাই দেশ বিরোধী শক্তিকে পিছন থেকে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে, ভারতমাতার শৃঙ্খলা মুক্তির আপোশহীন যোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র বসুকে যারা তেজোর কুকুর বা ফ্রান্সের পার্টেন বা নরওয়ের কুইসলিং-এর মতো বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, তারা আত্মসমীক্ষা করুন– তবেই দেশের এবং নিজেদের মঙ্গল। বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতবর্ষ, যার সঙ্গে একমাত্র তুলনীয় চীন, অথচ ওই দেশটি আয়তনে প্রায় ভারতের তিনগুণ। জন ভারাক্রান্ত ভারতবর্ষের সমস্যা যেমন বহুবিধ প্রকৃতিতে তা বিচিত্র। উন্নয়নমুখী ভারতে দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, অস্পৃশ্যতা এবং কুসংস্কার অগ্রগতির বড়ো প্রতিবন্ধক। এতৎসত্ত্বেও, সমস্যাজীর্ণ ভারত কৃষি উৎপাদন, শিল্পে- বাণিজ্যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে। ভারতে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে চীনের মতো সফল না হওয়ার কারণে সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারত পিছিয়ে থাকলেও, দেশটির অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক কাঠামো শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে, যা যে কোনো ঝাকুনি সহ্য করতে সক্ষম। ভারত বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞানে উন্নত দেশগুলির সমকক্ষ এবং দেশরক্ষা বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে কোনো বিদেশি শত্রুর চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম। আর্থিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধিশীল চীনকেও ছাড়িয়েছে এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশ। তবুও অনাহারে মৃত্যুর যে কোনো খবর বেদনা দায়ক এবং তার জন্য দায়ী প্রশাসনিক অপদার্থতা। উল্লেখ্য, ভারতের সাড়ে ছয় লক্ষ গ্রামের প্রায় সর্বত্র বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পৌঁছেছে। সকল গৃহহীনদের ২০২৪ সালের মধ্যে পাকা ঘর দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে সরকার, এই অভিজ্ঞান প্রায় সমাপ্তির মুখে। জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সকল নাগরিকদের কাছে বিনা খরচায় ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার বহুবিধ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
এতৎসত্ত্বেও, একথা জোর দিয়ে বলা যাবে না যে, স্বাধীনতার সুফল ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে সমান ভাবে পৌঁছেছে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে খরচের টাকার সিংহভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের পকেটে চলে যাচ্ছে। ফলে এক শ্রেণীর মানুষ বিপুল বৈভবের মালিক হয়েছে যার তুলনায় সাধারণের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য সামান্য বেড়েছে। সুতরাং ভারতের উন্নয়নে দুই প্রধান বাধা দুর্নীতি এবং কালোটাকার রমরমা ঠেকাতে ভারত সরকার আরও কড়া পদক্ষেপ নিক— এটাই স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর প্রত্যাশা। একথা অস্বীকার করা যায় না— উন্নয়নের সমান অংশীদার না হলেও কিন্তু সাধারণের জীবনযাত্রায়। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। প্রত্যন্ত গ্রামেও বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় গরিব মানুষ এবং শহরের বস্তিবাসীরাও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে দৈনন্দিন ঘটনা সমূহ অবগত হচেছন। পোশাক পরিচছদ এবং আসবাবপত্রেও পরির্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত রাজে মহিলা এবং তফশিলি ও জনজাতিদের সংরক্ষণের সুবাদে ক্ষমতায়ন হয়েছে, পিছিয়ে পড়া ওই সমস্ত মানুষের গান্ধীজীর কাঙিক্ষত ‘স্বরাজ-ব্যবস্থা’ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে দেশ। এই পাওয়া-না পাওয়ার দোলাচালে সর্বপেক্ষা বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে র্যাডক্লিফের কলমের খোঁচায় ভারতের সীমানার ওপারে বসবাসকারী কোটি কোটি ভাইবোনেরা, যাঁরা সবার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতমাতার শৃঙ্খল মোচনের লড়াইয়ে শামিল ছিলেন। অথচ হঠাৎ করে তারা বিদেশি হয়ে গেলেন। পাকিস্তান তাদের সুনজরে কখনো দেখেনি সংগত কারণেই, যেহেতু পাকিস্তান আদায় করেছে মুসলিম লিগ, মুসলমানদের জন্য কাফেররা সেখানে অবাঞ্ছিত। পাকিস্তান বা অধুনা বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়ে কোটি কোটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে জীবন এবং মা-বোনেদের সম্মান রক্ষায় ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে গরিষ্ঠাংশ মানুষ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা শহর এবং শহরতলিতে বস্তিবাসীর জীবন যাপন করছেন। অথচ তাদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরভাই মোদী তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের মাধ্যমে ভারতের বৃহত্তর সমাজ জীবনে পুনর্বাসিত করতে চাইছেন। আসুন, আমরা এই উদ্যোগকে সমর্থন করে স্বাধীনতার প্রাক্কালে এদের প্রতি ভারতের জাতীয় নেতৃত্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় শামিল হই।
কে. এন. মণ্ডল
(লেখক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন আধিকারিক)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.