হোয়াটসঅ্যাপের সিইও উইল ক্যাথকার্টকে চিঠি লিখল ভারত সরকারের বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক৷ ফেসবুকের এই ম্যাসেনজিং অ্যাপ সংস্থা শুধু ভারতীয়দের জন্য তার নিরাপত্তা নিয়ে যে পলিসি প্রস্তাব করেছে তা তুলে নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে ভারত সরকার৷
জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি তাদের প্রাইভেসি পলিসিতে যে পরিবর্তন এনেছে সেই সংক্রান্ত কথাই বলা হয়েছে চিঠিতে৷ সূত্রের খবর চিঠিতে সিইওকে বলা হয়েছে গোপনীয়তা, তথ্য আদানপ্রদান ও পলিসি শেয়ারিং নিয়ে যে প্রশ্নগুলি চিঠিতে করা হয়েছে তার যেন উত্তর দেওয়া হয়৷
মন্ত্রকের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত৷ কারণ নতুন পলিসিতে হোয়াটসঅ্যাপ প্রস্তাব দিয়েছে যে বিজনেস অ্যাকাউন্ট সহ ব্যবহারকারীদের তথ্য অন্যান্য ফেসবুক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হবে৷ ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি তো মধুর হাঁড়ি মতো৷
এর সাহায্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়বে৷
ব্যবহারকারীদের জন্য তা মোটেই সুখকর হবে না৷ সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে সুপ্রিম কোর্ট পুত্তাস্বমী ভর্সেস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (২০১৭) রায়দানে নিরাপত্তার আদর্শ ও মনোনিবেশের কথা বলে৷ দেশের সংসদ যখন পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল নিয়ে বিবেচনা করছে তখন কেন হোয়াটসঅ্যাপ এমন পরিসবর্তনের সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়েও সংস্থাকে জিজ্ঞাসা করেছে মন্ত্রক৷
এই পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল সংসদের দুই পক্ষের জয়েন্ট সিলেক্ট কমিটির বিবেচনার জন্য এগিয়ে রয়েছে৷ ‘পারপাস লিমিটেশন’-এর নীতি মেনেই এটি তৈরি করা হয়েছে৷ ‘পারপাস লিমিটেশন’-এর অর্থ ব্যবহারকারীদের তথ্য বিশেষ কোনও কারণে কোম্পানি ব্যবহার করতে পারবে৷
বিলটি আইনে পরিণত হল হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে৷ ভারতীয় ও ইউরোপীয়দের জন্য ভিন্ন নীতি নিয়েও হোয়াটসঅ্যাপকে প্রশ্ন করেছে মন্ত্রক৷ বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয়৷
গ্রাহকদের সঙ্গে এমন বিভেদমূলক আচরণ করলে ভারতীয় গ্রাহকরা হোয়াটসঅ্যাপের উপর থেকে আস্থা হারাতে পারে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এও মনে করিয়ে দিয়েছে যে ভারতীয় নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করার সার্বভৌম অধিকার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের৷ কোনওভাবেই যেন তার অন্যথা না হয়৷