উত্তরাখণ্ডে তুষারধস, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

উত্তরাখণ্ডে তুষারধস । রবিবার হিমবাহ ভেঙে  উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় তুষারধস নামল । প্রবল জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হৃষিগঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। ধসের জন্য ধৌলিগঙ্গার বাঁধে ভাঙন ধরেছে। জোশীমঠের কাছে গ্রামের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা। ১০০-১৫০ জন নিখোঁজ । উদ্ধার কাজে নেমেছে আইটিবিপি,
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ।  ধুলিগঙ্গার পাশের গ্রাম খালি করা হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরও আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দল। হরিদ্বার পর্যন্ত সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।  

কেদার নাথের স্মৃতি উস্কে দিল জোশীমঠের ঘটনা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ জোশীমঠের কাছে হিমালয়ের হিমবাহ ভেঙে পড়ে। বদ্রীনাথ মন্দিরের কাছাকাছি এলাকায় ঘটেছে এই তুষার ধস। ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডে যে ভয়াবহ তুষার ধসের কারণে হরপা বান হয়, তা ছিল কেদারনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায়।  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চামোলির তপোবন এলাকার রাণী গ্রামের কাছে বিদ্যুৎ প্রকল্প। রেনি গ্রামের তুষারধসের জেরে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে হৃষিগঙ্গার উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের। নদীর দু’ধারে অবস্থিত অসংখ্য বাড়িতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি অংশের দাবি, বিপর্যয়ের সময় সেখানে কয়েকজন কাজ করছিলেন। তাঁরা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন। তবে সরকারিভাবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

তবে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা ১০০-১৫০ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ)। ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) দুটি দলও উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। দেরাদুন থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) তিনটি দল রওনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার চপারে করে আরও তিনটি দল সন্ধ্যার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।  

বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল বৃষ্টিপাত সঙ্গে তুষারপাত। তার জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.