উন্নাওয়ের দগ্ধ ধর্ষিতার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সাংসদ তথা ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর। শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “আমি ভীষণ লজ্জিত। আমরা দেশ হিসেবেও ব্যর্থ।”
গম্ভীর আরও বলেন, “একজন মহিলাকে ধর্ষণ করার পর তাঁকে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারা হল, এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।” সারা দেশেই মহিলাদের নিরাপত্তা বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। হায়দরাবাদ, উন্নাও, কলকাতা, মালদহের ঘটনায় শিউরে উঠছে দেশ। এই প্রসঙ্গে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হওয়া গম্ভীর বলেন, “সূর্য ডুবলেই মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমাদের এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতেই হবে।”
ক্ষত বাড়ছিল বলে দু’দিন আগেই ধর্ষিতা তরুণীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নাও থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় উন্নাওয়ের ধর্ষিতা তরুণীর। তারপর থেকেই ক্ষোভের আগুন দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে। রাজনৈতিক চাপানউতরও তুঙ্গে উঠেছে।
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী সরাসরি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উন্নাওয়ে গিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। এদিন গম্ভীর বলেন, “এটা নিয়ে দয়া করে কেউ রাজনীতি করবেন না। এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা।”
উন্নাওয়ে গত মার্চে পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ করে বছর তেইশের ওই তরুণীকে। ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। বাকি দু’জন এখনও ফেরার। গত সপ্তাহে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার এই ধর্ষণের মামলায় শুনানির জন্য তরুণী যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায় পাঁচ অভিযুক্ত। তরুণী সেই সময় ছিলেন রেল গেটের কাছে। তাঁকে টেনে হিঁচড়ে পাশের ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।