দুটো দল । খেয়াল করুন দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু এক । যারা দিন রাত জেগে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে পরিশ্রম করেন তাঁদের শক্তি বৃদ্ধিতে এঁদের ভীষণ উষ্মা ।

৫৬ লাইনের একটা লম্বা সম্পাদকীয় । আজ গণশক্তিতে ।
বিএসএফ এর কেন শক্তি বৃদ্ধি ! হেড লাইন এরকম – রাজ্যের এক্তিয়ার খর্ব ।
ভেতরে লেখা হয়েছে –
“বি এস এফে র অধীন এলাকা ৫ থেকে বাড়িয়ে বড়জোর ১০ কিলোমিটার হতে পারে । তাই বলে একেবারে ৫০ কিলোমিটার ?….৫০ কিলোমিটার কেন জরুরি হল, কোন যুক্তিতে তাকে মান্যতা দেওয়া যাচ্ছে না । পাক সীমান্ত এবং বাংলাদেশ সীমান্তকে কোন যুক্তিতে এক করে দেখা হল ? তবে কি মোদী সরকার মনে করছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ,,? এমন ভাবনা আত্মঘাতের সামিল ।”

প্রায় ৫৬ লাইনের এই দীর্ঘ সম্পাদকীয়তে ছত্রে ছত্রে উষ্মা । কেন বি এস এফের শক্তি বৃদ্ধি হল তাই নিয়ে ।

আর ঠিক তার আগের দিন দিনহাটা উপনির্বাচনে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম প্রকাশ্যে কি বলে এসেছেন ? বলেছেন বি এস এফ চোর । ওরা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে আসবে । সাবধান থাকুন ।

দুটো দল । খেয়াল করুন দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু এক । যারা দিন রাত জেগে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে পরিশ্রম করেন তাঁদের শক্তি বৃদ্ধিতে এঁদের ভীষণ উষ্মা ।

https://www.facebook.com/103813628037533/posts/415836180168608/

কি সেই শক্তি বৃদ্ধি ? গত কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় দরকার সীমান্তে বি এস এফের raid করার ক্ষমতা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন নোটিফিকেশন করে । কোন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী লুকিয়ে থাকলে বি এস এফ ওই ৫০ মিটার পর্যন্ত চিরুনী তল্লাশি করতে পারে । কারুর অনুমতি না নিয়েই ।

এই নোটিফিকেশন এবং সি পি এমের সম্পাদকীয়, ফিরহাদ হাকিমের বি এস এফকে চোর বলে হেও করা যে সময় ঘটল খেয়াল করুন ঠিক সেই সময়েই প্রায় ২৪ জন বাংলাদেশি ধরা পড়ল জাল পাসপোর্ট, আঁধার কার্ড তৈরি করে ভারতে থাকার অভিযোগে । কেউ স্বরূপ নগরে, কেউ ব্যান্ডেলে ।

যে কোন সেনসিবিল সরকার, যে কোন সচেতন রাজনৈতিক দল কেউ বিরোধিতা করবে বি এস এফের এই শক্তিবৃদ্ধির ? করা উচিত ? বলুন ? আমার দেশ, আমার নিরাপত্তা যাঁরা দিন রাত জেগে সামলাতে চেষ্টা করছেন তাঁরাই আমার শত্রু । এটাই বোঝাচ্ছে একটা ১০ বছর রাজত্ব করা দল । একটা ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা দল । কি বলবেন একে ?

এরাই জোট বাঁধছে আগামীর লক্ষ্যে । ২০২৪ এর জন্য । মোদী হটানোর শপথে । এরা দেশের ভালো চান, এরা দেশের মঙ্গল চান । এরা ক্ষমতার অলিন্দে ঢুকতে চান । দেশের সুরক্ষার বিনিময়ে ।

এবার একটু বিরতি নিয়ে একেলা ঘরে বসে ভাবার চেষ্টা করুন এঁরা ক্ষমতার কাছাকাছি গেলেও কি কি বিপজ্জনক খেলা এরা খেলতে পারেন !

সীমান্ত প্রহরীদের বিশ্রাম দিয়ে তখন দেখবেন হয়তো এরা সিভিক এপয়েন্টমেনট করাচ্ছে ।
কেননা সীমান্ত প্রহরীরাতো সব চোর । তাই সিভিকই ভালো । অল্প পয়সায় তখন অনেক লোকের কাজ হবে । মন্দ নয় প্ল্যানটা । কি বলেন ? মমতার মাথায় হয়তো আছে প্ল্যানটা । এখন শুধু আপনার সম্মতিটা দরকার, সরকারে যাওয়ার ।

দেবেন কি না এবার আপনি ভাবুন, মন দিয়ে ।। সিরিয়াসলি ।

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.