গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যুব সমাজকে রাজনীতিতে আসতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে শেষ করতে হলে, যুব সমাজকে রাজনীতিতে আসতে হবে। বাঁচাতে হবে ভারতের গণতন্ত্রকে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় জাতীয় যুব সংসদ অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি আমাদের দেশের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ, যা সমূলে উৎখাত করতে হবে। মঙ্গলবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্বিতীয় জাতীয় যুব সংসদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ‘আপনাদের সকলকে জাতীয় যুব দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম জয়ন্তীর এই দিন আমাদের সকলকে নতুন অনুপ্রেরণা দেয়। আজকের দিন বিশেষ হওয়ার আরও একটি কারণ হল, এবার জাতীয় যুব সংসদ অনুষ্ঠান দেশের সংসদের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত করা হয়েছে। এই সেন্ট্রাল হল আমাদের সংবিধান তৈরির সাক্ষী।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিত্ব গঠন, প্রতিষ্ঠান নির্মাণের অনন্য উপহার দিয়েছিলেন স্বামীজী। এই বিষয়ে আলোচনা অনেক কমই হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশ নির্মাণে একটি ধাপ হল নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি। আমরা একটি ইকো-সিস্টেম তৈরি করছি, যা আমাদের যুব সমাজকে আরও ভাল সুযোগ প্রদান করবে। আমাদের যুব সমাজ নিজেদের প্রতিভা এবং স্বপ্নকে যাতে বিকশিত করতে পারেন সেই লক্ষ্যে ইকো-সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে। নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির লক্ষ্য মূলত দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রগতি। শিক্ষাব্যবস্থা হোক, সামাজিক ব্যবস্থা হোক অথবা আইনী নির্দিষ্টকরণ, সমস্ত বিষয়গুলিকে মাথায় রাখা হচ্ছে।’প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আগে দেশে এমন ধারণা ছিল যে, যদি কেউ রাজনীতির দিকে মনোনিবেশ করেন, তাহলে পরিবারের সদস্যরা বলতেন তাঁদের সন্তানের অবনতি হয়েছে। কারণ আগে রাজনীতি মানেই ছিল, ঝগড়া, বিবাদ, লুট এবং দুর্নীতি। বলতে শোনা যেত, সবকিছু বদলে যেতে পারে কিন্তু রাজনীতি কখনওই নয়। কিন্তু, এখন সৎ মানুষজনও রাজনীতিতে সুযোগ পাচ্ছেন। সততা এবং কর্মক্ষমতা রাজনীতির শর্ত হয়ে উঠছে। পরিবার তান্ত্রিক রাজনীতিকে শেষ করতে হলে, যুব সমাজকে রাজনীতিতে আসতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে সমাজ সঙ্কটের মধ্যেও প্রগতির রাস্তা তৈরি করা শিখতে পারে, সেই সমাজ নিজের ভবিষ্যত নিজেই লেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.