“করোনা মোকাবিলায় ভারতে তিনটে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে।” শনিবার দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এমনই আশার বাণী শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন তিনি বলেন, “দেশের মানুষের একটা বড় প্রশ্ন ভারতে ভ্যাকসিন কবে পাওয়া যাবে। আমি সবাইকে বলতে চাই ভারতের বৈজ্ঞানীকরা রাত-দিন এক করে ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা করছেন। ভারতে এই মুহূর্তে তিনটে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এই তিনটি ট্রায়াল আলাদা আলাদা পর্যায়ে রয়েছে। একবার সবুজ সঙ্কেত পেলেই তার গণ উৎপাদন শুরু হবে। কম দামে ও কীভাবে দেশের সবার মধ্যে এই ভ্যাকসিন ছড়িয়ে দেওয়া হবে তার রূপরেখাও তৈরি আছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বললেন, ”দেশে এই মুহূর্তে তিনটি ভ্যাকসিন টেস্টিংয়ের আলাদা আলাদা পর্যায়ে আছে। বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত পেলেই বিপুল হারে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও প্রস্তুত করে ফেলেছে সরকার।”
ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। অক্সফোর্ড এবং জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনও শীঘ্রই হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করবে। এই ভ্যাকসিনগুলি নিয়েই আশাবাদী মোদি। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে বিপর্যস্ত ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। স্বাধীনতা দিবসে তাই করোনা নিয়ে কি বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিয়ে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারলেও তাঁর বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মোদি বুঝিয়ে দিলেন, শুধু ভ্যাকসিন (Coronavirus) তৈরির অপেক্ষা। একবার তৈরি হয়ে গেলেই, দেশের মাটিতে ব্যাপক হারে উৎপাদন এবং প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত।