বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মৌলবাদী শক্তির আক্রমণে রক্তাক্ত হয় হিন্দুরা। বাংলাদেশের নোয়াখালির বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দির ছিল আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য।
এই আক্রমণ সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার সামনে এলো। সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই হিংসা ছড়ায়। অর্থাৎ গোটা ঘটনাটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উসকানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই চৌমুহনীর মন্দিরে লুট ও হামলা হামলা চালানো হয়। মন্দিরের পূজার সামগ্রী লুটপাট করা হয়। হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, মণ্ডপ, ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলার ঘটনায় জড়িত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানায় বাংলাদেশের এলিট ফোর্স।
র্যাব আরও জানিয়েছে, রংপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় মন্দিরে হামলার ঘটনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছিল। এসব ভিডিও দেখে চৌমুহনীর শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা চালানো হয়। হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল- মনির হোসেন রুবেল, জাকের হোসেন রাব্বি, মহম্মদ রিপন ও নজরুল ইসলাম সোহাগ। রোববার ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ বন্দর ও নোয়াখালি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, মন্দিরে হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। বাংলাদেশকে অশান্ত করে তুলতে বিরাট ষড়যন্ত্র রচনা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। দুর্নীতি-সহ দেড় ডজন মামলা ঝুলছে স্বেচ্ছায় লন্ডন প্রবাসী তারেকের বিরুদ্ধে।