নভেম্বর মাসের ভাগ্য খুলেছে, ১ দিন অতিরিক্ত ভাগ্যে জুটেছে । এখন থেকে ৩০ নয় ৩১ দিনের মাস হবে নভেম্বর । বাঙালির ক্যালেন্ডারে

না পড়লে পিছিয়ে পড়বেন । তাই পড়ালাম । এ বি পি আনন্দের স্ক্রীন শট । নভেম্বর মাসের ভাগ্য খুলেছে, ১ দিন অতিরিক্ত ভাগ্যে জুটেছে । এখন থেকে ৩০ নয় ৩১ দিনের মাস হবে নভেম্বর । বাঙালির ক্যালেন্ডারে ।

এরকম অনেক ঘটনা বাঙালির জীবনে ঘটবে । যেমন ঘটল আজ । কিরকম ?

লোকাল ট্রেন ছাড়পত্র পেল বাই ইলেকশন হওয়ার ঠিক পর দিন । অর্থাৎ ইলেকশন পর্যন্ত মানুষের জীবনটা খুব মূল্যবান ছিল । এখন মরলে মরুক । জনসংখ্যা তো কমবে । ভাবখানা এমনই ।

এই ক মাস কি ভাবে গেল । স্টাফ স্পেশ্যালে বাদুড় ঝোলা হয়ে মানুষ ঝুলে ঝুলে গেল । নামে স্টাফ স্পেশ্যাল । সবাই চড়ল । গাদাগাদি ভিড় । সংক্রমণের আতুড় ঘরের যাত্রা হল । কোন বাংলা সংবাদ মাধ্যম এ নিয়ে কথা বলল ?

পুজোয় ভিড়ে নিষেধাজ্ঞা হল না । সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধমুখী হল । আর তখনই মনে হল ট্রেন ছেড়ে দিই । সব ট্রেন বা বেশী ট্রেন তো অনেক আগেই চালু করা উচিত ছিল । যাত্রী যাতে মাত্রাতিরিক্ত বেশী না হয় তার জন্য তো অন্য বিকল্প ভাবা যেতে পারতো । নির্দিষ্ট ব্যবসা, বে সরকারি অফিস নির্দিষ্ট দিনে খোলা বন্ধ রাখা যেতে পারতো । ভিড়টা নিয়ন্ত্রণে রেখে বেশী ট্রেন চালিয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমানো যেত । যেত না ? কি বলেন ?

আর এখন সংক্রমণ উর্ধমুখী, চালাও ট্রেন বলে ট্রেনকে অবাধ ছাড়পত্র ! কে বোঝাবে সরকারকে ? গ্লোবাল কমিটি কোথায় ? চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলে সব গুলিয়ে দেওয়া নোবেল লরিয়েটরাই বা কোথায় ?

বার কিম্বা রেস্টুরেন্টে ৭০ শতাংশ ছাড় । নিয়ম ভাঙছে কি না কে দেখতে যাবে ? কে মাথা গুনবে ?
ট্রেনে নাকি ৫০ শতাংশ লোক উঠবে । কে নিয়ন্ত্রণ করবে কতজন উঠবে ?
বিয়ে বাড়ীতে ৭০ শতাংশ লোক থাকবে তার ছাড়পত্র মিলল । কে গুনতে যাবে আপনার বিয়ে বাড়ীতে ক ‘ জনকে আপনি নিমন্ত্রণ করেছেন । সেখানে কতজন থাকতে পারে আর কতজন আদতে নিমন্ত্রিত কে হিসেব রাখবে ? কেউ বলবেন ?

স্কুল কলেজ খুলবে । এক একটা বেঞ্চিতে ১ জন, অন্য বেঞ্চিতে দু জন বসবে, বসতে দেওয়া হবে । যে বেঞ্চে এতদিন পাঁচ জন করে বসত সেখানে এক জন ? বাকিরা কোথায় যাবেন ? স্কুলে আসবেন না ! কে বোঝাবে সরকারকে ? আর কেউ বোঝালে বুঝবে সরকারের আসল মস্তিষ্ক ? কোন বাংলা সংবাদমাধ্যমকে দেখছেন এসব প্রশ্ন নিয়ে নবান্নকে প্রশ্ন করতে ।

স্কুল কলেজ খোলা অবশ্যই দরকার । পুজোর ভিড়টা এবছর পাড়া বন্দী রেখে করা যেত না সেটা ? কে বোঝাবে ? মন পড়ে যে দিল্লীতে । গোয়ার সমুদ্র সৈকতে এখন মন পড়ে । ত্রিপুরার কামান চৌমুনিতে এখন ভাবনা আটকে । ফল ? যা হওয়ার তাই হচ্ছে ।

যখন যেটা করা দরকার সেটা নিয়ে ভাবনা নেই । যখন যেটা না করা দরকার সেটাতে আটকে যাচ্ছে একটা সরকার । ফল ? আজ এই মুহূর্তে সংক্রমণে আক্রান্তর সংখ্যা ৯৮২ । টেস্টিং যখন দ্রুত বাড়ানো উচিত ছিল তখন দৈনন্দিন টেস্টিং কমানো হয়েছে ১৩ হাজার ৮০০ । সেই পরীক্ষা কমিয়ে করোনা কম দেখানোর পুরানো খেলায় ফিরেছে সরকার ।

চারিদিকে এই অন্ধকারে কেউ প্রশ্ন করার নেই একটা সরকারকে । যারা প্রশ্ন করতে পারতো তারা এখন নভেম্বরকে ৩১ দিনের মাস তৈরি করে দিব্যি গোয়ার সমুদ্র সৈকতে মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী ।

এই সাংবাদিকতা, এই প্রশাসন এখন আমাদের জীবনের নিত্য দিনের সঙ্গী । প্রতিবাদহীন মানিয়ে নেওয়াটাই শুধু রপ্ত করতে হবে বাঙালিকে ।

তাহলেই সুখ ।।

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪২৬০৭৮)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.