জেএনইউ তে দুর্বৃত্তদের তান্ডব ‚ স্বামী বিবেকানন্দের উন্মোচন না হওয়া মূর্তিরকে বিকৃত করলো দুস্কৃতীরা।এবিভিপি চত্ত্বরটি পরিষ্কার করে মূর্তির চারপাশে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয়

জেএনইউতে বামপন্থী দুষ্কৃতীরা স্বামী বিবেকানন্দের একটি উন্মোচন না হওয়া মূর্তি ভাঙচুর করার ঘটনা আরেকবার সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। । ১৪ই নভেম্বর মূর্তিটির পাদদেশে অশ্লীল-অবমাননাকর ভাষায় কিছু লেখা পাওয়া যায় । ফলে জেএনইউতে যে বিক্ষোভ আন্দোলন হয়েছিল তা কি আদৌ সাম্প্রতিক ফি বাড়ানোর বিরুদ্ধে নাকি কোনো নির্দিষ্ট কোনও আদর্শের বিরুদ্ধে ছিলো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ জাগিয়ে তুলেছে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর এর এই ঘটনাটি।

হোস্টেল ও মেসের জন্য ফি বৃদ্ধি করা নিয়ে জেএনইউতে কিছুদিন আগে বিক্ষোভ শুরু হয় আর জেএনইউ এর ঐতিহ্য মেনেই লেকচারার , উপাচার্য এমনকি এইচআরডি মন্ত্রীকেও দীর্ঘকাল ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে অনর্থক জিম্মি করে রাখে শিক্ষার্থীরা। জেএনইউয়ের দেয়ালে অশ্লীল স্লোগানও লেখা ছিল যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় । এই তথাকথিত প্রতিবাদের নোংরা পদ্ধতি এবং ব্যবহৃত ভাষার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ক্রুদ্ধ দেশবাসী টুইটারে #SututownJNU #JNUShamed ট্রেন্ডিংয়ের ডাক দিয়েছে।

যাইহোক, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির আশেপাশে অশ্লীল এবং রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত কথা লেখা হলে ‚ ক্যাম্পাসে এই বামপন্থী আচরণের বিরুদ্ধে ক্রোধ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়।

ছবিগুলি ১৪ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে। দেয়াললিখনে ব্যবহৃত ভাষা এটি অন্তত পরিষ্কার করেছিল যে এটি মূলত ছিলো সংঘ এবং বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি। ফি-বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিকে অপমান করার যে পদ্ধতি বেছে নিয়েছিল, তা সারা দেশ জুড়েই মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।

দলমতনির্বিশেষে সমস্ত নেতারা এবং মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ায় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা জেএনইউতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‚ যারা এই জাতীয় লজ্জাজনক আচরণে লিপ্ত হয়েছে তাদের আচরণের নিন্দা করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির অবমাননার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদের ফলে পুরো দিন জুড়েই টুইটারে #JNUWallOfShame #JNUVandalism ট্রেন্ডে ভরে ছিলো।

এবিভিপি এর দ্বারে চত্বর শুদ্ধিকরণ।

স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুরের ফলে দেশের সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে , একই দিন সন্ধ্যার মধ্যেই এবিভিপি-র শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে চত্বরটি পরিষ্কার করে দেয়। সন্ধ্যায় প্রতিমার চারপাশে মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। এবিভিপি সদস্যরা ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তানের মূর্তি অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত বাণীগুলি সম্বলিত পোস্টার যেখানে প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল তার চারপাশে স্থাপন করা হয়।

চত্বর পরিষ্কার এবং মাটির প্রদীপ জ্বালানোর জন্য এবিভিপি-র কাজ সবার প্রশংসা অর্জন করেছে।

প্রশাসন ফি বৃদ্ধিতে আংশিক ছাড় দেওয়ার বিষয়ে রাজি হওয়ার পরে, বহু নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিক জেএনইউ এর বিশৃঙ্খল ও দেশবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানায়।

তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে জেএনইউতে যেসব শিক্ষার্থী জাতীয়তাবিরোধী কর্মকাণ্ড, নৃশংস আচরণ ও বিক্ষোভের নামে অনাচারে লিপ্ত রয়েছে তাদের চিহ্নিত করার ও শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.