রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে আচমকা শুরু হয়ে গেল কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দাপট। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকাতেই কালবৈশাখীর প্রভাব দেখা গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত তিনজনের। মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়েই কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, পুলিশ ফাঁড়ির চাল।
অন্যদিকে, বহু পাকা বাড়ির টিনের চালও উড়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হয়েছে, তার এখনও কোন আন্দাজ পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয় রবিবারের বিকেল থেকেই। ১৯ বছরের এক তরুণের মৃত্যু হয় ঝড়ে উড়ে আসা টিনের আঘাতে। যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও, ঘুঘুমারি এলাকায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। অন্যদিকে, বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দেবদাস পাল নামে এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ঝোড়ো হওয়া শুরু হয়ে যায় রবিবারের বিকেল থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। এরপর শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। শিলাবৃষ্টি হয়েছে কোচবিহার, ফলাকাটা, ইটাহার সহ বেশ কিছু জেলায়।
ঝড়ের দাপটে বিস্তীর্ণ এলাকা এলোমেলো হয়ে যায়। বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রাকৃতিক তাণ্ডবের কারণে গুরুতর জখম হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, উদ্ধার করা হবে প্রত্যেককে। জানা গিয়েছে, অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বড় বড় স্কুল বাড়িতে। প্রসঙ্গত, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বিগত কয়েকদিন ধরেই সকাল-সন্ধ্যা বৃষ্টি চলছে। গত রবিবার, ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বর্তমানে সেই জেলার চাষীরা চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন শিলাবৃষ্টির কারণে।
প্রশ্ন হল , কোচবিহারে এখনো কিভাবে টিনের বাড়ী? এক ঝড়ে লন্ডভন্ড কোচবিহার l টিভিতে দেখলাম, বাড়ীর মহিলারা রান্না করে, সেই খাবার খাওয়ার আগেই, মাত্র ৩৫ মিনিটেই গৃহহীন l ঘরে খাবার নেই l দক্ষিণ ২৪ পরগনার তিন তলা বাড়ীর মালিক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় বাড়ী বানাচ্ছে, বাংলা আবাস যোজনার নামে l আর উত্তরবঙ্গে এখনো হাজার হাজার টিনের দেয়ালের (শুধু টিনের চালা নয় ) বাড়ী? কেন্দ্রের অনুদান কেন কোচবিহার/দিনাজপুর পায় না?