বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর পরিষ্কার করতেই উদ্ধার হল বহু পুরনো গ্রেনেডের খোল। প্রশ্ন উঠেছে, এই গ্রেনেডের খোলগুলি ঠিক কতটা পুরনো? লালবাজারের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই গ্রেনেডের খোলগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে হতে পারে। ইতিমধ্যেই, পুরনো এই গ্রেনেডের খোলগুলিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বেড়েছে।
এই গ্রেনেডগুলিকে উদ্ধার করা হয় বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর থেকে, মঙ্গলবার বিকেলে। জানা গিয়েছে, করোনা টিকা রাখার জন্য অন্য জায়গার বন্দোবস্ত করা হচ্ছিল। সেই কারণেই বাগবাজারে সেন্ট্রাল স্টোর পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সময় স্টোর থেকে উদ্ধার হয় এক পেটি গ্রেনেডের খোল। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের মনে হয়েছিল, এগুলি কোন দুষ্কৃতীর কাজ। পরে পুলিশ আধিকারিকেরা যখন গ্রেনেডের খোলগুলিকে পরীক্ষা করে তখন বোঝা যায়, সেগুলি বহু পুরনো।
এক পুলিশ আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, যে বাড়ি থেকে গ্রেনেডের খোলগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাড়ি ১৯৫৩ সালে ছিল সিভিল ডিফেন্সের গোডাউন। তারপর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল বাড়িটি। এরপর করোনাকালে সেই গোডাউনটি তৈরি করা হয় সেন্ট্রাল স্টোর হিসেবে। তখন থেকেই করোনা টিকা রাখা হয়। মাঝে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ফের বাড়িটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের করোনা টিকা রাখার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তখন পরিষ্কার করতেই গ্রেনেডের খোলগুলি উদ্ধার হয়।
2022-07-21