বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গাড়িতে হামলা

বারাসতের কাজি পাড়ায় বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গাড়িতে হামলা। শুক্রবার রাতে কাজি পাড়ায় আটকানো হয় বনগাঁর সাংসদের গাড়ি। গাড়িতে চড়, থাপ্পড় মারতে থাকে স্থানীয় কয়েকজন। যদিও সেই সময় গাড়িতে ছিলেন না সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। শান্তনুকে আনতে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন তিনি। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন শান্তনু।

গন্ডগোলের পরই দ্রুত গাড়ি নিয়ে এলাকা ছাড়েন সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী। শান্তনুকে নিয়ে গাইঘাটায় ফেরেন তিনি। পরে রাতেই গাইঘাটায় তাঁর গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শান্তনু ঠাকুর। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন বনগাঁর সাংসদ। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মদতেই গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাড়িতে হামলার অভিযোগে সরব হন শান্তনু। যদিও বিজেপি সাংসদের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল। বনগাঁর সাংসদের গাড়িতে হামলায় দলের কারও যোগ নেই বলে দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার দিনভর অবরোধ-বিক্ষোভ চলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় চলে প্রতিবাদ দফায় দফায় চলে পথ ও রেল অবরোধ। আচমকা এই অবরোধ বিক্ষোভে পথে ও অন্য কাজে বেরিয়ে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সমস্যায় পড়ে পড়ুয়ারা।

তেমনই অফিস সেরে বাড়ি ফেরার পথে সময়ে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পড়েন অনেকে। রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গেই শুক্রবার দিনভর বিক্ষোভ চলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে। একাধিক জায়গায় চলে পথ অবরোধ। মোদি-শাহের কুশপুতুল পুড়িয়ে চলে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভেও তৃণমূলের মদতের অভিযোগ বিজেপির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.