শক্তিশালী ভারত গঠনে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক পুনর্গঠন দরকার

ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ বা বিকেন্দ্রীকরণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পরিচালিত দেশসমূহের একটি বিতর্কিত বিষয়। পশ্চিমি গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, তথা আমাদের ভারতবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা বর্তমান। এমনকী তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক দেশ চীন-রাশিয়াতে ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও চীনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক আছে ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ-এমনকী বিচার ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রিত কিনা তাও ধোঁয়াটে। অনেকে মনে করেন। চীনের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও শিল্পে পরিকাঠামো নির্মাণ, সামরিক ও মহাকাশ বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। অনুরূপভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে ধ্বসে। যাওয়া বিচ্ছিন্ন রাশিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাজিকও নাকি সেই শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার। সফল যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। ওখানে ৫০টি অঙ্গরাজ্য তাদের নির্ধারিত ক্ষমতার গণ্ডিতে থেকে যেমন নিজ নিজ রাজ্যের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম, তেমনি সংবিধানে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থান রয়েছে—যা দেশের অখণ্ডতা, নিরপত্তা বিধান-সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশটির সম্মান ও সম্ভ্রম আদায়ে সক্ষম।
ভারতের সংবিধান বিশ্বের সর্ববৃহৎ লিখিত সংবিধান এবং এখানেও একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সরকার বর্তমান। মানুষের প্রয়োজনের দিকে দৃষ্টি রেখে এপর্যন্ত ১০৩ বার সংশোধিত হয়েছে ভারতের। সংবিধান। ভারতে রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্র এবং রাজ্যে ভিন্ন সরকার থাকায় ক্ষমতা বণ্টন এবং তার প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তথা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ব্যর্থ রাজ্য সরকারগুলির রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। মনগড়া যুক্তিহীন কেন্দ্র বিরোধিতা বামপন্থীদের যুগ যুগ ধরে ক্ষমতা ভোগের হাতিয়ার হয়েছে এবং বর্তমান তৃণমূল সরকার একই অস্ত্র ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। তৃণমূল নেত্রী ধরে নিয়েছেন, জার্মান নেতা জোসেফ গোয়েবলস্-এর মতো মিথ্যা প্রচারে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে সব যুদ্ধ জেতা যাবে —তা যে সম্ভব নয় গোয়েবেল-এর পরিণতিতে তা প্রমাণিত। মিথ্যার আশ্রয়, বিভ্রান্তির সুযোগে সাময়িক সাফল্য এলেও তা দীর্ঘায়িত ফল প্রদান করে না। কারণ হাজার বার বললেও ‘মিথ্যা’মিথ্যাই থেকে যায়, সত্যে রপান্তরিত হয় না। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রীর উত্থাপিত একটি অভিযোগও সত্য প্রমাণিত হয়নি। তাছাড়া সংবিধান বহির্ভুত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাজ্য আদালতের আশ্রয় নিতে পারে। বিশেষত সারদা-নার দায় তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে জনগণের করের টাকা খরচ করে সিবিআই তদন্ত ঠেকানোর চেষ্টা, রাজ্যে নিরপেক্ষ এবং অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ ঠেকাতে রাজ্য উচ্চ আদালত এবং সর্বোচ্চ আদালতের দরজা ঠকঠকাতে কসুর করে না। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকারভুক্ত নির্দেশাবলী না মানার দায়ে যেমন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় রাজ্যের নামে প্রকল্প চালানো, কল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বেরিয়ে এসে ওই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করা, ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক নানা প্রকল্পে অসহযোগিতা, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেওয়ার কেন্দ্রীয় নির্দেশ লঙ্ঘন ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির সুবিধা নেওয়া ইত্যকার ঘটনা প্রমাণ করে যে রাজ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় যাচ্ছে রাজনৈতিক সুবিধা প্রাপ্তির আশায়। তবে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় শতাধিক মানুষের জীবনহানি, বহু মানুষকে ভোট প্রদানে বাধা দান ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের পরেও ‘আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের তালিকাভুক্ত বিষয় বলে কেন্দ্রের নীরবতা ভারতবাসীকে বিস্মিত করেছে এবং নিশ্চিতভাবে ভারতীয় গণতন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করেছে। ভারতের সংবিধান প্রণেতারা বহু ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ ভারতবর্ষকে একই সূত্রে গ্রথিত করতে (প্রায় ৬ শতাধিক নৃপতি শাসিত রাজ্য ভারতে অন্তর্ভুক্ত করে) এবং তৎসহ প্রত্যেকটি অঞ্চলের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রাখার প্রয়াসে, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সংস্থান। রাখে—তার মূল সুর কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এ কারণেই ভারতের সংবিধান বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সংবিধানে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থা রয়েছে। (Federal system with unitary bias)।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে নিজেদের প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা থেকে সাধারণের দৃষ্টি ঘোরানোর মোক্ষম অস্ত্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কামান দাগানো—“রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে রাজ্যকে হেনস্থা ইত্যাদি। এনডিএ সরকারের গত ৫ বছরে দেখা যাচ্ছে এ ধরনের ভিত্তিহীন বৈষম্য এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ ভারত সেরা। প্রশাসনিক অপদার্থতা, প্রশাসনকে এবং পুলিশকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা, পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি শিক্ষা ক্ষেত্রে অরাজকতা এবং সিন্ডিকেট ব্যবস্থা, শিল্পক্ষেত্রে খরা এবং কর্মসংস্থানে ব্যর্থতা থেকে জনরোষ প্রতিহত করতে কেন্দ্র বিরোধিতাই মোক্ষম অস্ত্র। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত ক্ষেত্রে সাফল্যের দাবি করেন—যেমন গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তাঘাট তৈরি, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা, ১০০ দিনের কাজে সাফল্য তা কিন্তু সবই কেন্দ্রীয় প্রকল্প। সকলের জন্য গৃহ প্রকল্প (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা) এবং প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় যে কাজ হয়েছে সেক্ষেত্রে প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ আছে এবং তার বাস্তবতার কারণেই মুখ্যমন্ত্রী বখরা খাওয়া নেতাদের (cut money) উপভোক্তাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলছেন এবং শোনা যাচেছ নবান্নে নাকি এজন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। (অবশ্য বিরোধীরা কেউ কেউ দাবি করছেন—কালীঘাটে একটি কন্ট্রোলরুম খোলার জন্য)। রাজ্য যে সমস্ত ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য দেশের সেরা—এমনকি আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত (যেমন ১০০ দিনের কাজ এবং কন্যাশ্রী) সেখানেও প্রচুর। জল মেশানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, এসব নাকি মাস্টার রোলের সাফল্য। কাজ না করিয়ে ১০০ দিনের কাজের মজুরি ভাগাভাগির কাহিনি। প্রকৃত তদন্ত হলে এবং কেন্দ্রীয় অডিট হলে সব সত্য প্রকাশিত হবে (প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষ্যকে cut money ফেরতকে গুরুত্ব দিয়েই)। জনগণের করের টাকা (তা রাজ্যের হোক বা কেন্দ্র থেকেই আসুক) তা কাটমানি (১০-২৫% বখরা) নিয়ে খরচ করার রেকর্ডে (ভারত সেরার শিরোপা) কী গরিমা আছে তা সাধারণের বোধগম্য নয়। তবে, এটা সবাই বোঝেন—কমিশন দিয়ে কাজ করানোর জন্য পঞ্চায়েত বা পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের থেকে এই কাজ মাত্র ১% কমিশনে বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওদের মাধ্যমে করা যায়। সরকার পোষ্য সংবাদ মাধ্যমে অ্যাড দিলেই ওইরকম সব সংস্থা হুমড়ি খেয়ে পড়বে কাজের দায়িত্ব পেতে। যে কাজের জন্য কোনো দায়িত্বশীল সরকারের গর্ব হওয়া উচিত তা হচ্ছে, আইনের শাসন কায়েমের মাধ্যমে রাজ্যের সকল নাগরিকের (দলমত নির্বিশেষে) জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সকল নাগরিকের জন্য বাসস্থান এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং উন্নত মানের শিক্ষা পরিকাঠামো তৈরি এবং দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন প্রদান। এছাড়াও কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, যেমন সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিরতিহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ, উৎপাদিত শস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং বাজারকরণে সহায়তা আর একটা অবশ্য করণীয় বিষয়। বেকার সমস্যা সমাধানে সরকারি ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ এবং শিল্পে (সরকারি/বেসরকারি) বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থায় সচেষ্ট হওয়া। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই অবশ্যকরণীয় কাজটিকে গুরুত্বহীন বা গুরুত্বের নিরিখে পিছনে ঠেলে দিয়ে ভোটকেন্দ্রিক দেখনদারি উন্নয়নে শামিল করেছে দলকে। গ্রামের দিকে নতুন নতুন ঢালাই রাস্তা হচ্ছে অথচ নদর্মার অভাবে বর্ষায় ডুবে থাকে ওই রাস্তা। বিদ্যুৎ সংযোগ হচ্ছে কিন্তু প্রায়ই লোডশেডিং বা লো-ভোল্টেজ থাকছে। অর্থাৎ এধরনের কাজে মানুষের সাময়িক স্বাচ্ছন্দ্য এলেও দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাচ্ছেনা মানুষ। তার উপরে রয়েছে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। বামফ্রন্টের ৩৪ বছরেরশাসনে দলের মনসবদারেরা যে সম্পদ করতে পারেনি ৮ বছরের মধ্যে তার শতগুণ সম্পদের মালিক ছোট -বড় তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা।
প্রসঙ্গত জনশ্রুতি আছে, ভারতের সংবিধানে ৩৭০ ধারার অন্তর্ভুক্তির বিলম্বের কারণ (১৯৫৪ সালে) নাকি ড. বি. আর. আম্বেদকরের আপত্তি। জওহরলাল নেহরু গোপাল স্বামী আয়েঙ্গারকে দিয়ে পরবর্তীকালে এর খসড়া তৈরি করান। যা ভারতীয় সংবিধানের অঙ্গ হয়ে যায়। কিন্তু আরেকটি বিতর্কিত ধারা ৩৫এ জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে যে আলাদা নাগরিকত্ব আইনের অধিকার প্রদান। করে (Resident ritht) তাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহর আগ্রহে হয় এবং সংবিধান সংশোধন না করেই রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদের আদেশ বলে এ কাজটি করানো হয়। যার জন্য কাশ্মীর উপত্যকা বাদে জম্মু-কাশ্মীরের বাকি এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। ভারতের বহু বিধানের মতো ভারতীয় নাগরিক আইনও জম্মু-কাশ্মীরে প্রযোজ্য নয়।
এতদিন ভারতের প্রায় সবাই জেনেছেন যে কাশ্মীরের জন্য একটি আলাদা নিশান এবং সংবিধান রয়েছে। ভারতের কোনো আইন জম্মু-কাশ্মীরে চালু হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না রাষ্ট্রপতি এই মর্মে আলাদা আদেশ জারি করছেন। এই বৈষম্য কাশ্মীরিদের বাকি ভারত থেকে আলাদা করে রেখেছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উৎসাহিত করছে। ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে সব। অঙ্গরাজ্যগুলির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই বিকাশ ও জনগণের আশা-আকঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর সংস্থান রয়েছে। কাশ্মীরিদের একটি বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করতে হবে। উগ্রপন্থা কাশ্মীরে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রাখতে সমর্থ হলেও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। সুতরাং ৩৭০ ধারা, ৩৫এ ধারার কলঙ্ক কেন বহন করবে তারা, বরং মূলস্রোতে যুক্ত হলে কাশ্মীরিদের সর্বাঙ্গীণ সমৃদ্ধি সম্ভব। তাছাড়া, উপত্যকা থেকে জম্মুর আয়তন প্রায় দ্বিগুণ এবং লাদাখের চারগুণ—এছাড়াও ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রেও বিভিন্নতা রয়েছে। সুতরাং, জম্মু ও লাদাখের মানুষের আলাদা সংস্কৃতি এবং অধিকার রক্ষায় তাদের ভাবাবেগকে মর্যাদা দিয়ে জম্মু এবং লাদাখকে দুটি আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া সঙ্গত। এর ফলে কাশ্মীর উপত্যকার প্রশাসনিক কাঠামো শক্তিশালী হবে যা উগ্রপন্থা মোকাবিলায় এবং কাশ্মীরিদের উন্নয়নের সহায়ক হবে।
২০১৯-এর নির্বাচন ছিল বিভেদকামী, ক্ষমতালিষ্ণু এবং জাতীয়তা বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী, সবল ও সাহসীতথা দুর্নীতিমুক্ত জাতীয়তাবাদী সরকার গঠনের গণভোট। এই গণতন্ত্রের উৎসবে আসমুদ্রহিমাচল শামিল হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর হাতে পর্যাপ্ত গরিষ্ঠতা দিতে যাতে বিগত সরকারের আনীত তামাদি হওয়া নাগরিক বিল সহ সমস্ত গণমুখী বিলগুলি পাশ তথা প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা বিরোধী সমস্ত কণ্টক দূর করে বিশ্বে ভারত রাষ্ট্রকে অন্যতম মহান ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। নরেন্দ্র মোদী সরকার এই সুযোগকে কতটা কাজে লাগাতে পারে তা দেখার।
কে. এন. মণ্ডল
(লেখক কে. এন. মণ্ডল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য প্রবন্ধক)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.