নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা। গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় পথ ও রেল অবরোধএ চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রাজ্যবাসীর একটি বড় অংশকে। সোমবার সকাল থেকেও রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ফের শুরু অবরোধ-বিক্ষোভ। সপ্তাহের প্রথম দিনে কাজে বেরিয়ে নাকাল সাধারণ মানুষ।
সোমবার সকাল থেকে রেল অবরোধ শুরু পূর্ব মেদিনীপুরের বাসুলিয়া স্টেশনে। দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রী ও স্কুলপড়ুয়ারা।সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বাসুলিয়া স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। রেললানাইনে বসে চলে অবরোধ-বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে হলদিয়া লোকাল।
ব্য়স্ত সময়ে কাজে বেরিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। চরম ভোগান্তির শিকার স্কুলপড়ুয়া ও অন্যরাও। বিক্ষোভের একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও। সকাল ৬ টা থেকে রেল অবরোধ শুরু হয় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে। হোগলা ও দক্ষিণ বারাসত স্টেশন লাগোয়া একাধিক জায়গায় ওভারহেডের তারের উপর কলাপাতা ফেলে চলে অবরোধ। খবর পেয়ে এলাকায় যায় রেলের টাওয়ার ভ্যান। ওভারহেডের তার থেকে সরানো হয় কলাপাতা। রেলের টাওয়ার ভ্যান চলে যেতেই ফের ধপধপি স্টেশনের কাছে ওভারহেডের তারে ফেলা হয় কলাপাতা। ফের বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এর জেরে সকাল থেকে শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাকার ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়।
সপ্তাহের প্রথম দিনেই কাজে বেরিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবারও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চরম আকার নিয়েছিল। রবিবারও শিয়ালদহ-বজবজ শাখার আক্রা স্টেশন ও ট্রেনে চলে ভাঙচুর, আগুন। একইসঙ্গে রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। রেল অবরোধের পাশাপাশি আক্রা স্টশন চত্বরেও চলে পথ অবরোধ। রবিবার রাস্তা ও রেল অবরোধে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
রবিবারও বাতিল করতে হয়েছে বহু ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, খড়গপুর ডিভিশনে বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভের জেরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রেলের।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সোমবার পথে নামছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি। প্রতিবাদের পাশাপাশি, রাস্তায় নেমে জানাবেন শান্তিরক্ষার আবেদনও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলে থাকবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হতে আবেদন জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষকেও।