নেতাজি কমিটি থাকলেও চলমান ট্রেনে নেতাজি মিউজিয়াম করার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বাংলায় আসার জন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী এপ্রিল মাসে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ করেছে এসেছেন স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। তাই বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব চায় এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে নেতাজির জন্মদিনে কলকাতায় ঘুরে যান প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালিত হচ্ছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে লোহা গরম থাকতে থাকতে তাতে আঘাত হানতে চায় রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাই তাঁরা চান নেতাজির জন্মদিনে কলকাতাতেই আসুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বাংলায় বই প্রকাশের দাবি জানান সুকান্ত মজুমদাররা। আর সেটা কলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করুন বলেও তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
একুশের নির্বাচনে বাংলায় পরাজিত হয়েছে বিজেপি। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আবার ৩০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে অপসারণ করা হয়েছে। তা নিয়ে দলের অন্দরে বিদ্রোহ চরমে উঠেছে। পাঁচজন বিধায়ক দল ছাড়তে তৈরি হয়েছে। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়েছেন তাঁরা। এই টালমাটাল অবস্থায় সবদিক বিবেচনা করেই সুকান্ত মজুমদাররা প্রধানমন্ত্রীকে ২৩ জানুয়ারি কলকাতাতে আনতে চান।
সূত্রের খবর, বাংলায় আসতে পারেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডারও কলকাতায় আসার কথা রয়েছে। রাজ্যের নেতা–কর্মী–সমর্থকদের ভোকাল টনিক দিতেই এখানে তাঁদের আসার কথা। আর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারলে সেই কাজ আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। যদিও প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।