গালওয়ান নদীর জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেল চিনা ফৌজের তাবু : বাধ্য হয়ে পিছু হঠছে রেড আর্মি

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা (Ladakh Galwon Valley) থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে চিনা ফৌজ। সম্প্রতি তেমনই খবর এসেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে। জানা গিয়েছে, গালওয়ান নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় তার দু’পাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে (People Liberation Army) পিছু হঠতেই হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, “আকসাই চিন এলাকা থেকে সৃষ্টি হওয়া এই গালওয়ান নদীতে বরফগলা জলের পরিমাণ হঠাৎ করেই বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণ ওই এলাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে। খুব দ্রুত বরফ গলছে। তাই এই মুহূর্তে নদীর পাশের কোনও জায়গা সুরক্ষিত নয়।” তিনি আরও বলেন, “উপগ্রহ চিত্র ও ড্রোন চিত্রে দেখা গিয়েছে, গালওয়ান নদীর পাশে তৈরি করা চিনা সেনার তাঁবু বন্যার জলে ধুয়ে গিয়েছে।”

গালওয়ান নদীর পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ছাউনি বানিয়েছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পর সেখানে মোতায়েন করেছিল অতিরিক্ত সেনা। কিন্তু সম্প্রতি গালওয়ান নদীতে জল বৃদ্ধি হাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে লাল ফৌজের সেখানে থাকা কোনও মতেই সম্ভব নয়। কারণ পাহাড়ি এলাকার নদীতে বন্যা হলে মুহূর্তের মধ্যে জলোচ্ছ্বাসে চিনা ফৌজের যাবতীয় রসদ তথা সামরিক শক্তি জলে ভেসে যেতে পারে। তাই নিরুপায় হয়ে এই মুহূর্তে পিছু হটতেই হবে পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানদের। গত ২০ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের জওয়ানদের প্রাণ হারিয়েছেন। তারপর থেকেই লাগাতার সীমান্তে দু’দেশ যুদ্ধের আশঙ্কায় বিপুল সংখ্যায় সেনাবাহিনী মজুত করেছে।SUGGESTED NEWS

শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) লেহ লাদাখে গিয়ে ভারতীয় সেনার মনোবল বৃদ্ধি করায় চিনা সরকার নড়েচড়ে বসেছিল। কিন্তু গালওয়ান নদীতে জল বাড়ার ঘটনা ঘটায় বিপাকে পড়েছে চিনা ফৌজ। এতদিন ধরে তারা যে হম্বিতম্বি লাদাখ সীমান্তে দেখিয়ে এসেছে, তা প্রকৃতির চোখ রাঙানিতে মাটি হতে বসেছে। তাই বাধ্য হয়ে সত্ত্বেও পিছু হটতে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন পিপলস লিবারেশন আর্মিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.