বহু মানুষ প্রশ্ন করেন, সরকার কি গবেষণাতে খরচ কামাচ্ছে? উত্তর না l বাড়াচ্ছে l এবং অনেকটাই বেড়েছে এবং বাড়ছে l কিন্তু গবেষণাকে আরও দায়বদ্ধ করছে l চাষী থেকে ডাক্তার সবাই যদি দায়বদ্ধ থাকেন, গবেষককেও থাকতে হবে l মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু পেটেন্ট বেঁচে আমাদের মোট জিডিপির দ্বিগুন তাঁদের জিডিপিতে যোগ করে l

এখন প্রশ্ন, তাই বলে কি আর্টসে গবেষণা বন্ধ করা হবে? না l কিন্তু বিষয়কে প্রাসঙ্গিক হতে হবে l উপনিষদে এলার্জি, অথচ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নিয়ে একের পর এক পিএইচডি নিয়ে যাবেন, এটা চলবে না l কৌটিল্য, চড়ক, সুশ্রুত থাকবে অধরা, আর অশোক / ঔরঙ্গজেব / নাদির শাহ কত ভাল মানুষ ছিলেন সেই নিয়ে চলবে গবেষণা এটা চলবে না l একটা ভিখারীও কর দেয় l করের প্রতিটি পয়সা সঠিকভাবে খরচ করা উচিৎ l গবেষণাকে রাজনৈতিক অস্ত্র বানাতে দেয়া হবে না l গত নয় বছরে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের দেশ বহু বিদেশী মুদ্রা আয় করেছে বিদেশ থেকে l শুধু গবেষণায় বিনিয়োগ করে এই ফল l পোলিও থেকে বিভিন্ন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ৪০ বছর পর আমাদের দেশে আসে l কোভিড অতিমারীতে আমাদের ভ্যাকসিন সারা পৃথিবী ব্যাবহার করে l এটাই গবেষণা হওয়া উচিৎ বলে সরকারি মনে করে l সেই সময় আমাদের জিডিপি সবচেয়ে বেশী কমেছে, কিন্তু আজ আমরা দ্রুততম l
আমাদের রাজ্যে একসময় ম্যালেরিয়া, কালাজ্বরের ওষুধ তৈরি হয় l এখন গবেষণার পরিবেশ নেই l ডঃ সুভাষ মুখার্জীকে হত্যা করার দিন থেকেই মৌলিক গবেষণা বন্ধ l কিন্তু আমরা দোষ দিতে পারি অন্যেকে l যতদিন পরিবেশ না পাল্টাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গেও গবেষণার উপর নজর রাখা হবে l কমানো হবে অযাচিত বরাদ্ধ l শুধু মাত্র মলাট পাল্টে পিএইচডি জোগাড় করার দিন শেষ হতে চলেছে l

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.