গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে মোট ২১, ৪০৮ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। তারমধ্যে গত চার বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে ১৯, ০০৮ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক।
গত ১০ বছরে কতজন বিদেশি নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার জবাবে লোকসভায় জানিয়ে দেওয়া হল শেষ ১০ বছরে ২১ হাজারেরও বেশি বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। তারমধ্যে শেষ ৪ বছরে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সাংসদ নিত্যানন্দ রাই জানান একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে মোট ২১, ৪০৮ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। তারমধ্যে গত চার বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে ১৯, ০০৮ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি বাংলাদেশি নাগরিক। এই চার বছরে ১৪, ৮৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। ১৯৫৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমা চুক্তির আওতায় এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সংসদে নিত্যানন্দ রাই আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ৫৩টি এলাকা ভারতের সীমানার আওতায় এসেছে।
২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবশ্য নাগরিকত্ব দেওয়ার সংখ্যাটা অনেকটাই কম। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ২, ৪০০ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছিল ভারত সরকার। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই বিদেশিদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার সংখ্যাটা অনেকটা বেড়েছে বলেই জানিয়েছেন নিত্যানন্দ।
প্রতি বছর কত বিদেশিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে সেকথাও বলেন নিত্যানন্দ। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ৯৮৭জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সংখ্যাটা হল যথাক্রমে ৬২৮, ৮১৭, ১১০৬, ১৫৪৭০, ৬১৭, ৫৬৩, ৫৫৩, ৪২৫ ও ২৩২। অর্থাৎ শুধুমাত্র ২০১৫ সালেই ১৫ হাজারের বেশি বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত। তার মধ্যে একটা বড় অংশ বাংলাদেশের। তবে এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৩০৮, ২০১৭ সালে ৫১ ও ২০১৮ সালে ৪৪৫ জন বাংলাদেশিকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ও তারা বেআইনি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করায় তাদের ফেরত পাঠান হয় বলে জানিয়েছেন নিত্যানন্দ রাই।