২২ সেপ্টেম্বরে আমেরিকার হিউস্টান শহরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক অনুষ্ঠানে আয়োজিত হবে। যার নাম ‘HOWDY MODI’, এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে যোগদান করবেন আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন অনেক এই অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকে প্রশ্নঃ তুলেছেন যে এতে বিশেষ কি আছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী GDP থেকে মানুষের নজর সরাতে এসব করছেন বলে দাবি বিরোধীপক্ষের। তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি সম্পূর্ণ আলাদা। আসলে মোদী এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এত বড়ো চাল খেলবেন তা কেউ ভাবতেও পারেনি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মোদীর এই মেগা জনসমাবেশ আন্তর্জাতিক মহলের কূটনীতির জন্য বড়ো পদক্ষেপ বলে দাবি করা হচ্ছেন
কেন কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ‘HOWDY MODI’ জনসভা:
প্রথমত জানিয়ে দি, হিউস্টান শহরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্দো-আমেরিকানদের সম্বোধন করবেন। শুধু মাত্র ওই শহরেই প্রায় দেড় লক্ষ ভারতীয় থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবেন। এটা একটা মেগা ও ঐতিহাসিক রালি হতে চলেছে। কারণ এই প্রথমবার এত বড়ো কোনো পাবলিক মেগা রালিতে দুই বড়ো লোকতান্ত্রিক দেশের দুই শক্তিশালী নেতা উপস্থিত থাকবেন। এর আগে আমেরিকায় কোনো বিদেশী নেতা এত বড়ো সভা করেননি। কিন্তু এই রালি প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এর জন্য।
আসলে ইন্দো-আমেরিকানদের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্প এর ছবি ততটাও ভালো নয়। আর সামনেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দ্বিতীয়বার নির্বাচনে জিততে হলে অবশ্যই ভারতের নেতার সাহায্য চাই। অর্থাৎ সোজা ভাষায় এটা আমেরিকাতে মোদীর শক্তি প্রদর্শন। মোদীর সভার উপস্থিত থাকার বাহানায় ট্রাম্প ভারতীয় ভোট ব্যাঙ্ক পস্তুত করতে পারবেন। যদিও আমেরিকার রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব আগে থেকেই ছিল। কিন্ত কোনো ভারতীয় নেতা এটাকে কাজে লাগাতে পারেনি। যেটা নরেন্দ্র মোদী কাজে লাগাতে চলেছেন।
মোদী এক ঢিলে দুই পাখি টার্গেট করে ফেলেছেন। আমেরিকায় ভারতের নেতার শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে এক বড়ো কূটনৈতিক জয় পেতে চলেছে। যদিও ভারতের বিরোধী দলের নেতাদের দাবি মোদীর এই বিদেশ সফর রাষ্ট্রহিতে নয়। যদিও পাল্টা প্রশ্নঃ এও উঠেছে যে রাহুল গান্ধী যখন ডোকলামের উত্তেজনা পরিস্থিতি চীনের রাজদূতের সাথে দেখা করেছিলেন সেটা কি রাষ্ট্র হিতে ছিল। মনিশংকর আইয়ার মাঝে মধ্যে পাকিস্তানে গিয়ে মোদীকে হারানোর জন্য পরিকল্পনা করতেন সেটা কি রাষ্ট্রহিতে ছিল।