তথাকথিত দলিত নেতা জিগ্নেশ মেওয়ানি দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে মনুস্মৃতি ও ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে যে কোনও একটিকে বেছে নিতে বলেছেন। আমি এব্যাপারে ১০০ শতাংশ যে উনি ও ওনার মতো লোকেরা কোনোদিনই মনুস্মৃতি পড়ে দেখেননি। বিনা কারণে শুধু চিৎকার করতেই এরা দক্ষ। আমি জিগ্নেশ মেওয়ানিকে চ্যালেঞ্জ করছি এই প্রবন্ধটি পড়ার জন্য এবং তারপর এ সম্পর্কে তার মতামত দেওয়ার জন্য। তিনি আসুন ও মনুস্মৃতির ওপর একটি বিতর্ক হোক। আমি এই মহান কাজের জন্য তাকে চ্যালেঞ্জ করছি।
এই প্রবন্ধটি পড়ার পর পাঠকেরাই ঠিক করুন যে ভারতীয় সংবিধান ও মনুস্মৃতি— এই দুটোর মধ্যে তারা কী বেছে নেবেন।
অধিকাংশ পাঠকই হয়তো মনে করেন যে, মনুস্মৃতি জাতিভেদ প্রথাকে সমর্থন করে। তাদের ধারণা এতে বলা হয়েছে যে, ব্রাহ্মণ শূদ্রের থেকে শ্রেষ্ঠতর। জাতিভেদ প্রথাকে সমর্থনকারী এই সমস্ত গ্রন্থকে পুড়িয়ে ফেলার কথাও হয়তো অনেকে বলবেন। আমরা এই ব্যাপারটাই অনুসন্ধান করে দেখব যে সাধারণ মানুষের ধারণা, মনুস্মৃতি জাতপাতকে সমর্থন করে—এটা ঠিক কিনা।
ঊনবিংশ শতকের বিখ্যাত বৈদিক পণ্ডিত স্বামী দয়ানন্দ লিখছেন, “যে অংশটি প্রক্ষিপ্ত (পরবর্তীকালে সংযোজিত) নয়, সেটি বেদের সঙ্গে একই মত পোষণ করে।” তার অভিমত হলো যে, যে মনুস্মৃতিটি আমরা বর্তমানে পড়ি যেটি স্বয়ম্ভু মনু লিখেছিলেন তা পুরোপুরি সে অবস্থায় পাওয়া যায় না। বর্তমান গ্রন্থটিতে স্ববিরোধিতা ও বৈদিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কিছু কথা কথা আছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। যে সমস্ত জায়গায় মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে কাউকে কাউকে হীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলোকে তিনি বাতিল করেছেন।
প্রকৃত সত্য হলো যে, মনু বর্ণ ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছিলেন— যা ঠিক হবে ব্যক্তি বিশেষের গুণের ওপর, তার জন্মের ওপর নয়। নীচে মনুস্মৃতির কিছু শ্লোকের অর্থ দেওয়া হলো— যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে জন্মসূত্রে নয়, যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে বর্ণ নির্ধারিত হতো। ২.১৫৭-যেমন কাঠের তৈরি হাতি ও চামড়ার তৈরি মৃগ অকেজো ও অসার, তেমনি যে ব্রাহ্মণ বেদাধ্যয়ন করেন না, তিনিও অপ্রয়োজনীয় ও অসার; ওই তিনটি পদার্থ কেবলমাত্র ওই সমস্ত নাম ধারণ করে (অর্থাৎ নামের যোগ্য প্রয়োজন নির্বাহ তারা করে না)। ২.২৮-বেদধ্যয়ন, ব্রত পালন, যজ্ঞে নৈবেদ্য প্রদান, পবিত্র শাস্ত্র অধ্যয়ন, ত্রিস্তরীয় বিজ্ঞান অধিগত করা, ভগবান, ঋষি ও পিতৃলোকের তর্পণ করা, গৃহস্থ অবস্থায় সন্তান উৎপাদন, বিভিন্ন মহাযজ্ঞ সম্পাদন, সৌত্র আচার পালন প্রভৃতির মাধ্যমে এই মানব শরীর ব্রহ্মের সঙ্গে মিলনের উপযুক্ত হয়। ওপরের দুটি শ্লোকেই এই বিষয়টির ওপরর জোর দেওয়া হয়েছে যে, শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই কেউ ব্রাহ্মণ হয় না; কিছু বিশেষ কাজ তাকে করে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়।
কোনো মানুষের বর্ণ (জাতি বা সমাজে অবস্থান) নির্ধারিত হতো তার শিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পর।
বৈদিক যুগে একজন মানুষ দু’বার জন্মগ্রহণ করে বলে বিশ্বাস করা হতো। প্রথম, যখন সে তার পিতা-মাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করত। দ্বিতীয়, যখন সে তার শিক্ষা সম্পূর্ণ করত। দ্বিতীয় জন্মের (দ্বিজ) পর সেই ব্যক্তির বর্ণ নির্ধারণ করা হতো।
মনুস্মৃতির নীচে উল্লিখিত শ্লোকগুলি ব্যাপারটিকে আরও পরিষ্কার করবে— ২.১৪৮-কিন্তু সেই নবজন্ম যা সমস্ত বৈদিক সাহিত্যে পারদর্শী, আচার্য শাস্ত্র অনুসারে তাকে (ছাত্রকে) দেন সবিতৃর সাহায্যে (গায়ত্রী মন্ত্র দ্বারা), সেই জন্মই প্রকৃত এবং বয়স ও মৃত্যুরহিত। ২.১৪৬- জন্মদাতা পিতা এবং বেদের জ্ঞানদানকারী পিতা— এই দুজনের মধ্যে দ্বিতীয় জনই অধিকতর শ্রদ্ধার অধিকারী পিতা; কারণ বেদের জ্ঞানপ্রাপ্তির দ্বারা যে দ্বিতীয় জন্ম হয় তা শাশ্বত—ইহলোক ও পরলোক উভয় স্থানেই।
যে ব্যক্তি অশিক্ষিত থাকতেন ও বৈদিক জ্ঞান অর্জন করতেন না তাকেই শূদ্র বলা হতো। সুতরাং শূদ্র বর্ণ জন্মের ওপর ভিত্তি করে নয়— কর্মের ওপর ভিত্তি করে স্থির হতো। ১০.৪-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের দু’বার জন্ম (শিক্ষাগ্রহণ) হয়, কিন্তু চতুর্থ বর্ণ শূদ্রের জন্ম হয় মাত্র একবার, কোনো পঞ্চম বর্ণ হয় না। ২.১৭২-যিনি বৈদিক শিক্ষায় শিক্ষিত হননি, তিনি শূদ্রের ন্যায়। মনু তথাকথিত নিম্নবর্ণের কোনো মানুষকে অপমান করতেও নিষেধ করেছেন— ৪.১৪১-যাদের দেহে অতিরিক্ত অঙ্গ আছে বা যারা হীনাঙ্গ, যারা বিদ্যাহীন (অশিক্ষিত), যারা অত্যধিক বয়স্ক, যাদের রূপ বা সম্পদ নেই এবং যারা হীন বংশে জন্মে তাদের কখনো অপমান বা ব্যঙ্গ করবে না। তাহলে মনু কেন বর্ণ ব্যবস্থা শুরু করলেন ? ১.৩১-কিন্তু এই বিশ্বের সমৃদ্ধির জন্য তিনি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র বর্ণের সৃষ্টি করলেন সমাজরূপ দেহের যথাক্রমে মাথা, বাহু, জঙ্ঘা এবং পদ রূপে। (লক্ষণীয় যে, এখানে কিন্তু ভগবানের পদদ্বয় থেকে শূদ্রের উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।) ১.৮৭-এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড রক্ষার জন্য তিনি
(ঈশ্বর) সকলের জন্য পৃথক কর্তব্য স্থির করে দেন, যেমন কোনো দেহের ক্ষেত্রে মুখ, বাহু, জঙ্ঘা ও পদদ্বয় করে থাকে। ১.৯৮-ব্রাহ্মণদের জন্য তিনি স্থির করেছেন যে, শিক্ষাদান করা ও অধ্যয়ন করা, নিজের ও অপরের ভালোর জন্য ত্যাগ করা এবং দান গ্রহণ করা ও দান করা। ১.৮৯-ক্ষত্রিয়দের জন্য তার আদেশ হলো প্রজা রক্ষা করা, দান করা, অধ্যয়ন করা এবং ইন্দ্রিয়পরায়ণতা থেকে বিরত থাকা। ১.৯০-শূদ্রের জন্য প্রভু একটিই পেশা ঠিক করে দিয়েছেন কোনো অসূয়া ছাড়া পূর্বোক্ত বর্ণগুলির শুশ্রুষা করা। যেসমস্ত মানুষের কোনো দক্ষতা বা জ্ঞান নেই মনু তাদেরই শূদ্র বলে মনে করেছেন। সুতরাং এই অদক্ষ ও অশিক্ষিত মানুষদেরই অন্যান্য দক্ষ, শিক্ষিত মানুষদের তত্ত্বাবধানে কাজ করার কথা মনু বলেছেন। আমরা বর্তমান যুগেও ঠিক এইভাবেই কাজ করি না কি?
মনু মানুষকে তার নিজের বর্ণ অতিক্রম করে ওপরের বর্ণে উত্তরণের প্রচেষ্টা করতে বলেছেন। ফলে বোঝা যায় এই বর্ণব্যবস্থা ছিল পরিবর্তনশীল এবং তা জন্ম নয়, কর্মের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হতো। ১০.৬৫-এইভাবে একজন শূদ্র ব্রাহ্মণ হতে পারে, (একইভাবে) একজন ব্রাহ্মণ শূদ্রের পর্যায়ে নামতে পারে; এই একই জিনিস ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য সন্তানদের ক্ষেত্রেও খাটে। ৯.৩৩৫-একজন শূদ্র যে পবিত্র, উৎকৃষ্টতরদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, বিনীত কথা বলে, ব্রাহ্মণদের শরণে থাকে সে উচ্চ বর্ণ লাভ করে তার গুণের জন্য। ৪.২২৫-একজন ব্রাহ্মণ যিনি সর্বদা উৎকৃষ্ট মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন ও নিকৃষ্টদের দূরে রাখেন তিনি হন অত্যন্ত সম্মাননীয়, আর যিনি ঠিক এর বিপরীতটা করেন তিনি শূদ্রের পর্যায়ে নেমে আসেন। আমরা তো এখনো বলে থাকি মানুষের সঙ্গীই তাকে ভালো বা খারাপ বানায়। ২.১০৩-কিন্তু তিনি যিনি সকালে পূজা করেন না, সন্ধ্যাতেও করেন না, সে একজন শূদ্রেরই ন্যায়, তাকে শূদ্রের মতোই সমস্ত রকম কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত ও আর্য (বিভিন্ন গুণাবলীর অধিকারী) হওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া উচিত। ২.১৬৮-একজন দু’বার জন্মগ্রহণ করা মানুষ (দ্বিজ) যিনি বেদ পড়েননি, কিন্তু অন্যান্য ঐহিক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, তিনি তার জীবদ্দশাতেই শূদ্রের পর্যায়ে পতিত হন এবং তার পরবর্তীকালে তার বংশধররাও। ২.১২৬-যে ব্রাহ্মণ অভিবাদনের উত্তরে প্রত্যাভিবাদন জানান না, শিক্ষিত মানুষদের তাকে অভিবাদন জানানো উচিত নয়, তাকেও শূদ্রের পর্যায়ভুক্ত হিসাবেই ধরা উচিত। একজন শূদ্রও অন্যান্য বর্ণের লোকেদের শিক্ষা দিতে পারে। ২.১৩৮-একজন শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি তথাকথিত নিচু বর্ণের থেকেও শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে, নীচুতম বর্ণের থেকেও শ্রেষ্ঠ জ্ঞান লাভ করতে পারে এবং নিজের থেকে নীচু বর্ণ থেকেও উত্তমা স্ত্রী বিবাহের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারে। ২.২৪১-আপৎকালে কোনো ব্রাহ্মণ ছাত্র ব্রাহ্মণেতর অধ্যাপকের কাছ থেকেও অধ্যয়ন করতে পারবে, আর যতদিন ওই অব্রাহ্মণ অধ্যাপকের কাছে অধ্যয়ন করবে, ততদিন অনুব্রজ্যারূপে শুশ্রুষা করা চলবে। উচ্চতর বর্ণের বিভিন্ন অধিকারও মনু অনেক ক্ষেত্রে শূদ্রদের দিয়েছেন। ২.১৩৬-ধন-সম্পদ, নিকট আত্মীয়, বয়স্ক মানুষ, বিভিন্ন ধর্মসম্মত কর্ম ও আচার পালন এবং বিদ্যা (বৈদিক জ্ঞান)-এই পাঁচটি সম্মানের কারণ; কিন্তু প্রত্যেকটির থেকে তার পরেরটি বেশি সম্মানের কারণ বলে জানবে। ২.১৩৭-এই পাঁচটি গুণের মধ্যে ওপরের তিনটি বর্ণের মানুষদের যত বেশি গুণ থাকবে, তিনি তত বেশি মান্য হবেন, আর শূদ্র নব্বই বছরের বেশি বয়স্ক হলে ব্রাহ্মণসহ সকলের মান্য হবেন। অর্থাৎ মনু এখানে শূদ্রদেরও মান্যতার কথা বলেছেন। ৩.১১৬-ব্রাহ্মণদের পর আত্মীয়স্বজন ও ভৃত্যরা খাবে এবং এর পরে অবশিষ্ট যা থাকবে তা গৃহস্থ ও তার স্ত্রী খাবেন। তো এখানে মনু গৃহস্থদের নির্দেশ দিয়েছেন ভৃত্যদের (মূলত যারা শূদ্র হতো) পরে খাদ্য গ্রহণ করতে। ৮.৩৩৫-সাধারণ মানুষের যেখানে এক কার্ষাপণ দণ্ড, সেরকম ক্ষেত্রে রাজার দণ্ড হবে ১০০০ কার্ষাপণ—এটাই স্মৃতিশাস্ত্রের বিধান। ৮.৩৩৭-৮.৩৩৮-চুরির ক্ষেত্রে চৌর্যের দোষ-গুণ সম্পর্কে অবহিত শূদ্রের পাপ হবে আট গুণ, বৈশ্যর ষোলো গুণ, ক্ষত্রিয়ের বত্রিশ গুণ এবং ব্রাহ্মণের ৬৪ গুণ বা ১০০ গুণ-অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে একই অপরাধ হলেও মনু উচ্চবর্ণের জন্য বেশি শাস্তির বিধান দিয়েছেন। এই লেখাটিতে সমাজ কাঠামো সম্পর্কে মনুর নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিকেই তুলে ধরা হলো। তাঁর কাছে শিক্ষিত মানুষের ব্যবহারিক ত্রুটি, একজন অশিক্ষিত মানুষের থেকে বেশি ক্ষমার অযোগ্য।
প্রাচীনকালে বর্ণব্যবস্থা পরিবর্তনের কিছু উদাহরণ— ১। ঋষি ব্রহ্মার পুত্র মনু স্বয়ম্ভু নিজেই ব্রাহ্মণের পুত্র হয়েও ক্ষত্রিয় রাজায় পরিণত হন।
২। মনুর জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিয়ব্রত একজন রাজা হন অর্থাৎ ক্ষত্রিয়ে পরিণত হন।
৩। মনুর দশ পুত্রের মধ্যে সাতজন রাজা হন এবং বাকি তিনজন ব্রাহ্মণ। তাদের নাম হলো মহাবীর, কবি ও শাওল (ভাগবত পুরাণ, নবম অধ্যায়)।
৪। কবস আইলুশ শূদ্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে ঋষি হয়ে যান। তিনি ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের বেশ কিছু সূক্ত রচনা করেছেন।
৫। জাবালার পুত্র সত্যকাম, যাঁর পিতৃপরিচয় অজ্ঞাত, তিনিও নিজের গুণবলে ঋষি হন।
৬। নীচু বর্ণে জন্মগ্রহণ করেও মাতঙ্গ ঋষি হন।
৭। নীচু বর্ণে জন্ম হলেও মহাঋষি বাল্মীকিও পরবর্তীকালে ঋষি হন।
৮। মহাত্মা বিদুর দাসীর সন্তান হয়েও রাজা ধৃতরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হন।
৯। রাজা বিশ্বনাথ যিনি ছিলেন একজন ক্ষত্রিয়, সাধনবলে তিনি ব্রাহ্মণ তিনি ব্রাহ্মণে পরিণত হন এবং ঋষি বিশ্বামিত্র হিসেবে পরিচিত হন।
একই রকম ভাবে বর্ণব্যবস্থায় পতিত হওয়ারও বহু উদাহরণ আছে—
১। ব্রাহ্মণ ঋষি পুলস্ত্যের পুত্র লঙ্কার রাজা রাবণ রাক্ষসে পরিণত হন।
২। শ্রীরামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর পুত্র প্রবিধ গুণের অভাবের জন্য নিম্নতর বর্ণ হিসাবে ঘোষিত হন।
৩। শ্রীরামের পূর্বপুরুষ রাজা সমরের পুত্র অসমঞ্জস বিবিধ বাজে গুণের জন্য শূদ্র হিসাবে ঘোষিত হন।
এই আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে প্রকৃত, প্রাচীন মনুস্মৃতিতে গুণের বা কর্মের ওপর ভিত্তি করে বর্ণব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, জন্মের ওপর ভিত্তি করে নয়। পরবর্তীকালে সংযোজিত এই পুস্তকের অংশগুলি। তাই পরিত্যাজ।
ডা. বিবেক আর্য