নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই ঘোষণা করেছিলেন যে দেশের প্রতিটি সাংসদ যেন তাঁর সংসদীয় এলাকায় একটি করে গ্রামকে দত্তক নেয়। আর সেই গ্রামকে দত্তক নেওয়ার পর গ্রামে সবরকম সুবিধা উপলব্ধ করায়। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) আবেদন শুনে এনডিএ জোটের সব সাংসদই একটি করে গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) একটি গ্রামকে দত্তক নিয়েছিলেন। যার নাম জয়াপুর (Jayapur Village)। বারাণসী জেলার ছোট্ট এই গ্রামকে দত্তক নিয়ে মাত্র পাঁচ বছরেই এর চেহারা পাল্টে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এর আগে এই গ্রামে (Jayapur Village) সেরকম কোন সুবিধা ছিলনা। এই গ্রামের বাসিন্দারা মূলত মৎস্য ব্যাবসা এর উপর নির্ভর। কোনোরকম ভাবে খেটে খেয়ে দিন চলত তাঁদের। মাত্র ৪২০০ জনের মত বাসিন্দার এই গ্রাম, রাতারাতি স্পট লাইটে চলে আসে।

যেই গ্রামে (Jayapur Village) ২০১৪ এর আগে একটি পোস্ট অফিস পর্যন্ত ছিলনা। সেই গ্রাম এখন বড়বড় শিল্পপতিদের আকৃষ্ট করছে। যেই গ্রামে ২০১৪ এর আগে খুব কষ্টে দিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। সেখানে গ্রামে ২৫ কিলো ওয়াটের সোলার প্যানেল লাগিয়ে দিনে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ উপলব্ধ করিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। এমনকি ওই গ্রামের ছোট বিদ্যালয় গুলোতেও উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার কাজ করেছে মোদী সরকার। সেখানে কম্পিউটার এর মাধ্যমে পড়ুয়াদের উন্নত এবং উচ্চ শিক্ষা দেওয়া হয়। যেটা এর আগে কোনদিনও গ্রামবাসীরা কল্পনাও করতে পারেনি।

গ্রামে একটি সেলাই কেন্দ্র খুলে মহিলাদের ট্রেনিং দেওয়ার কাজ শুরু করিয়েছে মোদী সরকার। ওই সেলাই সেন্টারে এমব্রয়ডারি থেকে শুরু করে সেলাই এর নিখুঁত কাজ শিখিয়ে মহিলাদের স্বনির্ভর করানো হয়। এখনো পর্যন্ত ওই সেলাই কেন্দ্র থেকে ১৩১ জন মহিলা গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২১ মহিলাকে খাদি এবং ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রি কমিশন (KVIC) কাজ দেওয়া হয়েছে।

গ্রামের তরুণদেরকে ডিজিটাল বিশ্বের শিক্ষার জন্য গ্রামে একটি কম্পিউটার সেন্টার খোলা হয়েছে। এটি ছয় মাসের জন্য ডিপ্লোমা কোর্স প্রদান করে। ১১৫ জন যুবক এখনও পর্যন্ত এই কোর্স সম্পন্ন করেছে। ইউনিয়ান ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং সিন্ডিকেট ব্যাংক এই গ্রামে শাখা খুলেছে এবং তাঁরা এটিএম এর সুবিধাও দিচ্ছে।

ওই গ্রামে গরীবদের ঘর দেওয়ার জন্য ‘মোদীজি অটল নগর” নামে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়। সেই প্রকল্পের অধীনে গ্রামবাসীদের বিনামূল্যে বাড়িঘর বানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বাড়ি গুলোকে সুন্দর রঙ করা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ারও কাজ করে সরকার। ওই গ্রামে এখন প্রতিটি বাড়িতেই আছে শৌচালয়, রান্নার গ্যাস, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ।

গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এতদিন তাঁরা এগুলকে স্বপ্ন বলেই ভাবত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছে। তাঁরা কোনদিনও ভাবতেও পারেনি যে, তাঁদের এই ছোট্ট অজানা গ্রামে এত উন্নয়ন আসবে। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজে খুবই উপকৃত। এবং তাঁরা চান নরেন্দ্র মোদী আবারও ক্ষমতায় এসে দেশের এক একটা গ্রামকে এভাবে উন্নয়ন মূলক কাজে ভরিয়ে তুলুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.