দুর্নীতির দায়ে ২২ শুল্ক অধিকর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই দুর্নীতি ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে অর্থমন্ত্রকের ১২ উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বাধ্যতামূলক অবসরের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পর্যায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শুল্ক দফতরের ২২ জন কর্মকর্তাকে অবসর নিতে বাধ্য করল কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, এই ২২ আধিকারিকের নাম একাধিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার।
কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, শুল্ক দফতরের বেশ কিছু আধিকারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে করদাতাদের হয়রান করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধিকারিককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছি। এই ধরণের আচরণ সহ্য করা হবে না’।
দুর্নীতির দায়ে কেন্দ্রের কোপে অবসর নিতে বাধ্য হওয়া উচ্চপদস্থ শুল্ক আধিকারিকদের মধ্যে আছেন কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, মেরট-সহ দেশের বড় বড় শহরের ২২ জন ‘হেভিওয়েট’ কর্তা।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, এই ২২ শুল্ক আধিকারিক হলেন, প্রমোদ কুমার, ভি কে সিং, কে কে উইকে, ডিআর চতুর্বেদি, এসআর পারাতে, দীপক এম গাণিয়ান, কৈলাস ভার্মা, কেসি মন্ডল, ভিপি সিং, এমএস দামোর, আরএস গোগিয়া, নবনীত গোয়েল, কিশোর প্যাটেল, জেসি সোলঙ্কি, এসকে মন্ডল, অচিন্ত্য কুমার প্রামাণিক, এই ছাপারগেরে, লীলা মোহন সিংহ, এস অশোকরজ, ডি অশোক, গোবিন্দ রাম মালভিয়া এবং মুকেশ জৈন।