গোটা দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। আজ নতুন করে প্রায় ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় আর সিডিডিইপি মনে করছে, ভারতে ২১ দিনের লকডাউন অকার্যকরী হতে পারে। কারণ আগামী ২ মাসে ব্যাপক হারে বাড়বে সংক্রমণ মাত্রা। এপ্রিল, মে এবং জুন মিলিয়ে প্রায় ১২ কোটি মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। এই সংক্রমণের মাত্রার ব্যাপক বৃদ্ধির কারণ হবে জনঘনত্বই।
এর ফলে মোট ২৫ কোটি সংক্রমণ ছাড়িয়ে যেতে পারে। মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্ন তুলেছে, হাসপাতালের বাইরে সংক্রামিত কত রয়েছে, সেই তথ্য নেই ভারতের কাছে। ভারতীয় জনস্বাস্থ্য বা পাবলিক হেলথের ওপর কাজ করছে জন হপকিন্স এবং সিডিডিইপি। সমীক্ষামূলক রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পেশও করে এই দুই সংস্থা। এই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আগামী ৩ মাসের মধ্যে সর্বাধিক ২৫ লক্ষ এবং সর্বনিম্ন ১৩ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই মহামারীর কবলে পড়তে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর পরিষেবা দিতে সমর্থ। এই সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বাড়তে পারে মৃত্যুর হার। মহামারীর সঙ্গে লড়তে সরকারের স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত সংক্রমণ-প্রতিরোধী উর্দি বরাদ্দ করা উচিত। নয়তো তাঁদের মাধ্যমে এই সংক্রমণ অন্য জনগোষ্ঠীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মহামারী বিলুপ্ত হলেও তার কিছু প্রকোপ রেখে যায়। সাধারণ নাগরিক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই প্রকোপের বলি হতে পারেন।
এই সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টেস্টিং এবং শারীরিক দূরত্ব বজায়। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করে আতঙ্কের পরিবেশ থেকে মানুষকে বের করে আনতে হবে। তবে আর এক পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার বৃদ্ধিতে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে। সেই দাবির স্বপক্ষে ওই সমীক্ষা যুক্তি দিয়ে বলেছে, কিছুটা রেহাই মিলবে বটে, কিন্তু সুরাহা মিলবে না। চিনে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির ফলে সংক্রমণ হার কমেছিল। কিন্তু ভারতের ভৌগলিক অবস্থান মেনে সেই তত্ব কতটা কার্যকরী তবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সেই সমীক্ষা।