করোনা মোকাবিলায় একদম সঠিক পথ ধরেছিল ভারত। এখনও সেই পথেই হাঁটছে দেশ। তাই এত বেশি আরোগ্যের হার দেশ জুড়ে। এমনই মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তিনি বলেন গোটা বিশ্বে অন্যতম উচ্চ আরোগ্যের হার ভারতের, যা নিঃসন্দেহে সাফল্যের বিষয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনু্ষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন ভারতের বৈচিত্র্য, জনসংখ্যার বিপুলতা নিয়ে করোনা মোকাবিলা খুবই চ্যালেঞ্জের। সেই কাজটাই করে চলেছে কেন্দ্র। সফলতা নিঃসন্দেহে এসেছে। বহু দেশের থেকে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে ভারত বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
দেশের করোনায় মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন ইউরোপ ও এশিয়ার বহু দেশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি করোনাতে। সেই পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে ভারতে। আর তা হয়েছে শুধুমাত্র সঠিকভাবে লকডাউনের জন্য। এদিন মোদী বলেন ভারতে যে হারে মানুষ মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা দেখিয়েছেন, তা আর কোনও দেশ দেখাতে পারেনি। কেন্দ্রের পরিকল্পনা সফল হয়েছে।
মোদী জানান, কেন্দ্রের আরও পরিকল্পনা রয়েছে। ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়িত করা হবে। ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলে তার সরবরাহ কীভাবে হবে, সেই রূপরেখা তৈরি করেছে কেন্দ্র। প্রত্যেক ভারতীয়ের ডিজিটাল হেলথ আইডি তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাবেন সবাই।
এদিকে, দেশে করোনা সংক্রমণ অব্যহত। শেষ ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হলেন আরও ৫৫ হাজার ৭২২ জন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৯ জনের।
নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৭৩ জন। তবে আশার কথা হল এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬০৮ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাক্টিভ করোনা কেস রয়েছে ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৫ টি। দেশজুড়ে করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬১০ জনের।
তবে এবার আশার কথা শোনানো হয়েছে। সব প্রোটোকল যদি সঠিকভাবে মেনে চলা হয়, তাহলে আগামী বছরেই নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা। এমনটাই মত কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত একটি প্যানেলের। তাদের মতে, ভারতে করোনার চরম সময় পেরিয়েছে।
ওই প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আইসিএমআর ও আইআইটি-র সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, সঠিকভাবে সুরক্ষাবিধি মেনে চললে আগামী বছরের শুরুতেই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। সঠিকভাবে সব মেনে চললে ফেব্রুয়ারির শেষে অনেকটাই কমে আসবে আক্রান্তের সংখ্যা।