স্মৃতিতে মেদিনীপুরের সভা, মোদীর ব্রিগেডের খুঁটিনাটি ম্যাপে এঁকে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিজেপিকে

মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা চলাকালীন ভেঙে পড়েছিল তাঁবুর একাংশ। এই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। ৩ এপ্রিল ব্রিগেডের সভাতেও যাতে এরকম কিছু না ঘটে তার জন্য তৎপর প্রশাসন। আর সে জন্যই রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ পরিদর্শনে আসেন পুলিশ ও প্রশাসনের একাধিক বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ব্রিগেডের মঞ্চেই বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ব্রিগেডে এসে পৌঁছন স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কলকাতা পুলিশ, দমকল, পিডাবলুডি, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। জয়প্রকাশ মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দলও আসেন ব্রিগেডের মঞ্চে। সেখানেই নির্মীয়মান তাঁবুর নীচেই বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বৈঠক করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে বিজেপি প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে, ৩ এপ্রিলের সমাবেশের পুরো রূপরেখা সোমবার প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে জমা দিতে হবে। সমাবেশের কোথায় কোথায় তাঁবু থাকবে, কোন তাঁবুতে কতজন কর্মী-সমর্থক বসবেন, মঞ্চে বিজেপি নেতাদের মধ্যে কারা থাকবেন, সবকিছুই একটা ম্যাপের আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে বিজেপি প্রতিনিধিদের। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা কোন পথে মঞ্চে আসবেন-বেরবেন, সাধারণ কর্মী-সমর্থকরাই বা কোন পথে মঞ্চে ঢুকবেন-বেরবেন, সে সবও ম্যাপে এঁকে বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে।

সূত্রের খবর, বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও নির্মীয়মান মঞ্চের লোহার বিম পরীক্ষা করেও দেখেন এসপিজি প্রতিনিধি দল। প্রশাসনের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মেদিনীপুরের সভায় তাঁবু ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এই ঘটনা যাতে দ্বিতীয়বার না ঘটে তার জন্য তৎপর প্রশাসন। তাই আগে থেকেই সুরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বিজেপির প্রতিনিধি দলকেও সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

বিজেপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “সভার প্রস্তুতি সবকিছু খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আজ স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ, কলকাতা পুরসভা, পিডাবলুডি, কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিরা ছিলেন। লোকজনের ঢোকা-বেরনোর রাস্তা, বসার জায়গা সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আসছেন, এটাই বড় কথা। এর সঙ্গে রাজ্যের সম্মান জড়িয়ে আছে। তাই সবাই সতর্ক রয়েছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.