শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, তাঁর দলের আদর্শ ‘সুন্দর রত্ন’-এর মতো এবং কংগ্রেসের ভিতরে সীমাহীন শক্তি রয়েছে। বিজেপির ছায়া পড়ে কংগ্রেস ঢেকে গিয়েছে। কংগ্রেস হিন্দুত্ব ও হিন্দুধর্মের মধ্যে পার্থক্য করতে জানে। কংগ্রেসের আদর্শ জীবিত ও প্রাণবন্ত রয়েছে এবং সেটা আরএসএস ও বিজেপির আদর্শকে হারিয়ে দিতে যথেষ্ট। দলের চিন্তাধারাকে আরও উন্নত করা. দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং সেই ভাবনা চিন্তাকে দলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর জোর দেন রাহুল।
রাহুল গান্ধী ওয়ার্ধার সেবাগ্রাম আশ্রমে আয়োজিত চার দিনের সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে নিজের এই চিন্তাধারা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। দেশের সব রাজ্যের কংগ্রেস প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেছেন।
এদিনের বক্তব্যে রাহুল বলেন, “আমাদের মেনে নিতে হবে ভারতে দুটি আদর্শ রয়েছে। একটি কংগ্রেসের, অপরটি আরএসএসের। একথা মেনে নিতে কোনও সমস্যা নেই বর্তমান দেশে আরএসএসের আদর্শ ঘৃণা ছড়াচ্ছে। কংগ্রেসের ভালবাসা, জাতীয়তাবাদী আদর্শ বিজেপির ছায়ায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে।” প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির দাবি দেশের সংবাদ মাধ্যমকে সম্পূর্ণভাবে গৈরিকিকরণ করেছে বিজেপি।
ওয়ানাডের সাংসদ জানিয়েছেন, সংবাদ মাধ্যমের একটা বড় অংশ বিজেপির আদর্শকে দেশে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছে। আমদের আদর্শ ঢাকা পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল আমরা আমাদের সমর্থকদের মধ্যে কখনও হিংসাত্মক চিন্তাধারা প্রবেশ করতে দিইনি। আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে দুই আদর্শের মধ্যেকার ফারাকটা বোঝাতে হবে।
রাহুলের দাবি, ‘হিন্দুত্ব’ ও ‘হিন্দু ধর্ম’ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “হিন্দুধর্ম শিখ, মুসলিমদের মারধর করতে শেখায় না, কিন্তু হিন্দুত্ব মানুষকে এই আক্রমণের শিক্ষা দেয়। কোনও বইতেই এই কথা লেখা নেই। আমি অন্তত দেখিনি। আমি উপনিষদ পড়েছি, তাতে এরম কিছু লেখা নেই। সেই কারণেই আমরা বলি হিন্দুধর্ম ও হিন্দুত্বের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, আপনি যদি হিন্দু হন তবে আপনার হিন্দুত্বের কোনও প্রয়োজন নেই।”