“এই যে ছেলে ছোকরা’রা মদ্যপান নিয়ে দাপাদাপি করে, ওরা তো মদ খেতেই পারে না। বাংলায় গত শতাব্দীতে মদ খেত মাইকেল, তারপর গিরিশ ঘোষ, তারপর শিশির ভাদুড়ি আর এখন খাচ্ছে তোমার এই সৈয়দ মুজতবা আলী।”
- সৈয়দ মুজতবা আলী
সৈয়দ মুজতবা আলী তখন বেশ বিখ্যাত লেখক, প্রতিদিনই তাঁর দর্শন লাভ করতে ভক্তরা বাসায় এসে হাজির হয়। একদিন এক ভক্ত মুজতবা আলীর কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কোন বই কী অবস্থায় লিখেছেন। মুজতবা আলী যতই এড়িয়ে যেতে চান, ততই তিনি নাছোড়বান্দা।
শেষে মুজতবা আলী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বললেন, ‘দেখো, সুইস মনস্তত্ত্ববিদ কার্ল গুসতাফ জাং একদা তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন, কিছু লোক আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কীভাবে লিখি।
এ ব্যাপারে আমাকে একটা কথা বলতেই হয়, কেউ চাইলে তাকে আমরা আমাদের সন্তানগুলো দেখাতে পারি, কিন্তু সন্তানগুলো উৎপাদনের পদ্ধতি দেখাতে পারি না।’
তাঁর লেখা পড়ে হাসেননি এমন পাঠক আদৌ আছে কি-না সন্দেহ; ঘরকুনো-নিভৃতচারী বইপ্রেমী কিংবা বোদ্ধা পাঠককেও আপনমনে দুদণ্ড প্রাণ খুলে হাসতে বাধ্য করতো সৈয়দ মুজতবা আলীর রম্যরচনাগুলো।
যশস্বী ও কিংবদন্তি সৈয়দ মুজতবা আলীর সৃষ্ট সাহিত্য সংখ্যায় সীমিত হলেও অপার সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের বিশালতায় বাংলা সাহিত্য ভুবনে তার তুলনা শুধু তিনিই।
???? জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি সৈয়দ সাহেব ????
_কাজী সুমন রাহাত