বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হবে জম্মু-কাশ্মীরে। তার ঠিক আগ দিয়ে উপত্যকায় ক্রমে বাড়ছে জঙ্গিদের আনাগোনা। লক্ষ্য একটাই ২৬ জানুয়ারি যেভাবেই হোক কাশ্মীর উপত্যকার শান্তি-স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করা। আর সেই লক্ষ্যেই বিপুল পরিমাণে অস্ত্র-শস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার, এরকমই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা জইশ-ই-মহম্মদ’এর পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে শ্রীনগর পুলিশ। আর তারপরই রীতিমতো হতবাক তাঁরা।
ওই জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেন্ট্রাল কাশ্মীরের ডিআইজি ভিকে বিরদি জানিয়েছেন, জঙ্গিদের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল তাতে আগামী ২৬ জানুয়ারি উপদত্যকা উড়ে যেতে পারত। পুলিশের উদ্ধার করা অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী আইইডি তৈরি করতে সক্ষম এমন জিলেটিন স্টিক, বেশ কিছু সেকেন্ডারি এক্সপ্লোসিভ গ্রেনেড, বোমা তৈরির আরও বিভিন্ন উপকরণ-সহ সামরিক স্তরের অস্ত্রশস্ত্র।
এর আগে শ্রীনগরে জনবহুল এলাকায় গ্রেনেড হামলার ঘটনাতেও জইশ-ই-মহম্মদ’এর এই দলটিই জড়িত ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। ডিআইজি ভিরদি আরও জানিয়েছেন, ‘যে ধরণের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে তারা বড় ধরনের আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিল। এই পরিকল্পনাটি সম্পর্কে আরও বিশদে জামতে তদন্ত করা হচ্ছে।
আটক জঙ্গিদের পরিচয়ও প্রকাশ করেছে শ্রীনগর পুলিশ। আটক পাঁচজন হল – ইজাজ আহমেদ শেখ, উমর হামিদ শেখ, ইমতিয়াজ আহমেদ, সাহিল ফারুক গুজারি, এবং নাসির আহমেদ মীর। এঁরা কিন্তু পাকিস্তান থেকে আগত জঙ্গি নয়। প্রত্যেকেই শ্রীনগরের হজরতবাল এলাকার বাসিন্দা। তবে এই একটি দলই নয়, ২৬ তারিখের আশপাশ দিয়ে উপত্যকায় হামলা চালাতে বেশ কয়েকটি জঙ্গিদল প্রস্তুত হচ্ছে বলে আশঙ্কা পুলিশের। আ তার জন্যই এই মুহূর্তে কাশ্মীরে চলছে কড়া নজরদারি।