কর্ণাটকের পর হিজাব বিতর্কের আঁচ গড়াল উপত্যকায়। স্কুলের মধ্যে হিজাব পরতে পারবেন না শিক্ষিকারা। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লায় শিশুদের জন্য সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুল। এই নির্দেশিকা ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানা গিয়েছে এই নির্দেশিকা জারি করেছে ‘ড্যাগার পরিবার’ নামের একটি স্কুল। পুনের একটি এনজিও এবং ‘চিনার কর্পস ইন্ডিয়ান আর্মি’ মিলে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য এই স্কুলটি চালায়। সেই স্কুল কর্তৃপক্ষই শিক্ষিকাদের উদ্দেশে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, স্কুলের মধ্যে শিক্ষিকারা হিজাব পরতে পারবেন না।
কেন এই নির্দেশিকা? স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুদের মনের মধ্যে যাতে ভয়ের সঞ্চার না হয়, তারা যাতে কোনও সংশয়ে না থাকে এবং অনেক বেশি নিরাপদ অনুভব করে, সেজন্যই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এটি কেবলমাত্র শিক্ষিকাদের জন্য। পড়ুয়াদের স্বার্থেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঘটনার সমালোচনা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘এটা মহিলাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা ছাড়া আর কিছুই নয়, সংখ্যালঘুদের ওপর বিজেপি সরকারের অনৈতিক এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি’। একু সুরে নিন্দা করেছেন ওমর আবদুল্লাও। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে যেখানে প্রতিটি ধর্মকে সমান হিসাবে দেখা হয় সেখানে এই ধরণের নির্দেশ অগণতান্ত্রিক’।