পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে এ বছর হোলি খেলবেন না সিআরপিএফ জওয়ানরা

পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ান। শহিদ জওয়ানদের বদলা নিতে প্রত্যাঘাতও হেনেছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। এ বার শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে হোলি উৎসব পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিআরপিএফ।

সিআরপিএফ-এর ৮০ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ডিরেক্টর জেনারেল আর আর ভাটনাগর জানিয়েছেন, পুলওমায়ার শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে চলতি বছর ২১ মার্চ হোলি খেলবেন না সীমান্তে থাকা জওয়ানরা। তিনি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের দমন করা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে ২০১৮ সালে ২১০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। ভাটনাগর আরও বলেন, নকশাল বা মাওবাদী হামলাও আগের থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ কমে এসেছে। তবে এখনও বেশ কিছু জায়গায় বিশেষ করে ছত্তিসগড়ে এই সমস্যা রয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরার কাছে লেথপোরায় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। ৭৮টি ট্রাকে করে হাজার দুয়েক সেনাকে তখন স্থানান্তর করা হচ্ছিল। বেশিরভাগই ফিরছিলেন ছুটি কাটিয়ে। কেউ বা ক’দিন পর ছুটি নেবেন। কারও আবার কয়েকমাসের মধ্যেই অবসর। ফিদায়েঁ জঙ্গি হানায় মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৪০জন সিআরপিএফ জওয়ানের দেহ। পরে সেনা সূত্রে জানা যায়, আরও অনেকেই শহিদ হয়েছেন এই হামলায়। আহত হয়েছেন অসংখ্য জওয়ান।

প্রায় সাড়ে তিনশো কেজি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে ধাক্কা মেরেছিল আদিল আহমেদ নামের বছর কুড়ি কিংবা বাইশের জঙ্গি। আত্মঘাতী হামলার পরেই দায় স্বীকার করে নেয় পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় আদিলের একটি ভিডিও। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, “কাশ্মীরে হামলার পর জন্নতে যাবো।” পুলওয়ামা হামলার ১৩ দিনের মাথায় প্রত্যাঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশদের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সক্রিয় ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.