পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করা হল বিহারের মুজফরনগরের আদালতে। আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা মুজফফরপুরের চিফ জুডিশিয়াল কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন। তিন তাঁর অভিযোগে স্পষ্ট জানিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে। পাশাপাশি তিনি তাঁর বক্তব্যে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকিও দিয়েছেন।
তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে যেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি দেওয়া হয়। ওঝা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য উস্কানিমূলক ছিল যা দেশের সংহতিকে নষ্ট করবে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রথম সচিব বিদিশা মৈত্র বলেন, “ইমরান খানের বক্তব্য উস্কানিমূলক এবং ঘৃণাপূর্ণ ছিল।” এর আগে, রাষ্ট্রসংঘের জেনারেল অ্যাসেম্বলির মঞ্চ থেকে প্রায় ৫০ মিনিটের বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান খান পারমাণবিক যুদ্ধের নিন্দা করতে গিয়ে আসলে অর্ধেক সময়টাই কাশ্মীর ও ভারত নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। ইমরান খানের সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে ভারত।
ইমরান খানের বক্তব্যের জবাবে ভারত তার ‘রাইট টু রিপ্লাই’ ব্যবহার করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, অবিলম্বে কাশ্মীরের ‘অমানবিক কারফিউ’ অপসারণ করা উচিত এবং সমস্ত আটক ব্যক্তিদের মুক্ত করা উচিত। ইমরানের বক্তব্য রাখার কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন, ইমরান ঠিক তার বিপরীত কথা বলেন। মোদি বলেন যে ভারত এমন একটি দেশ যা বিশ্বকে “যুদ্ধ নয় বুদ্ধ” দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তন বারবার পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন চাইলেও ছবিটা প্রতিবারই বিপরীত। কাশ্মীর নিয়ে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিশ্বের সব শক্তিশালী দেশই প্রতক্ষ্যভাবে সমর্থন জানিয়েছে।