একের এক পর জিহাদি আক্রমণে রক্তাক্ত কঙ্গো ও নাইজেরিয়া, ছাড় পেলোনা ফ্রান্স ও, আল্লাহু-আকবর বলে স্প্যানিশ পর্যটকের উপর কুড়োল নিয়ে ঝাঁপালো জেহাদি

একের পর এক ইসলামিক সন্ত্রাসে জেরবার বিশ্ব।

রিপাব্লিক অফ কঙ্গোয় (Republic of Congo ) হামলা চালালো জিহাদি গোষ্ঠী এলায়েড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স,(Allied Democratic Force ) যা ইসলামিক স্টেটের (Islamic State ) সহযোগী বলে পরিচিত।
ADF খুন করে ১৬ জন খ্রীষ্টানকে , এর মধ্যে ছয় জন নারী ও দুইটি শিশুও রয়েছে। রাস্তা থেকে অপহরণ করে খুন করা হয় তাদের।
কঙ্গোর রাজধানী গোমা (Goma)থেকে ৩৯২ কিলোমিটার দূরে অইচি (Oichi) শহরে ঘটে ঘটনাটি।
এই ঘটনায় নয় জন আহত ও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে আর এর মধ্যে তিন জন শিশুও আছে।

সূত্রের খবর , মহিলাদের খুন করার আগে তাদের সম্ভবত ধর্ষণও করে জিহাদিরা।

অন্যদিকে নাইজেরিয়ায় আবারো হামলা চালালো ইসলামী জঙ্গিরা।
ইসলামিক স্টেট অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রভিন্স (Islamic State of West African Province ) নামে এই জঙ্গি সংগঠনটি হামলা চালায় খ্রিস্টানদের উপর। ঘটনায় মারা যায় চার জন এবং আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন।

এদিকে জঙ্গি হামলা হলো ফ্রান্সে, সেন্ট্রাল প্যারিস এর রুডি দি রিভোলি( Rudi de Rivoli) তে এক স্প্যানিশ পর্যটকের উপর কুড়োল নিয়ে আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে এক জেহাদি, প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি।

আক্রমণকারী কে পুলিশ ধরেছে ۔ ধৃত ব্যক্তি একজন মুসলিম শরণার্থী এবং তার কাছ থেকে জিহাদ সংক্রান্ত কিছু কাগজ ও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই স্প্যানিশ যুবককে আক্রমণ করার সময় ” আল্লাহু-আকবর ” বলে চিৎকার করছিলো ধৃত এই জঙ্গি।

উল্লেখ্য, আফ্রিকার সোমালিয়ায় জেহাদি শিবির আক্রমণ চালিয়েছিল আমেরিকা গত সপ্তাহে। ওই একই সময়ে, ভিয়েনায় বড়ো সড়ো জিহাদি আক্রমণ ব্যর্থ করে পুলিশ।

মার্কিন বিমান বাহিনী সোমালিয়ায় আল-সাবাব জঙ্গি ঘাঁটিতে বড়ো ধরণের আক্রমণ চালায়। নিহতের সংখ্যা জানা না গেলেও কুখ্যাত এই জিহাদির গোষ্ঠীর অনেক ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওই জিহাদি সংগঠনের বিরুদ্ধে মানবঅধিকার লঙ্ঘের প্রচুর অভিযোগ আছে যার মধ্যে আছে খুন , ডাকাতি , ধর্ষণ , ও নারী পাচারের মাধ্যমে নারীদের যৌন ক্রীতদাস বানিয়ে রাখা ইত্যাদি।

অন্যদিকে , অস্ট্রিয়ান পুলিশ জানায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের প্ল্যান করেছিল চেচনিয়া থেকে আশা এক শরণার্থী, যে পরে জঙ্গি বা জিহাদি তে পরিণত হয়।

ধৃত জঙ্গির নাম হালিস।

হালিসের বাড়িতে অনুসন্ধান চালিয়ে ইসলামিক স্টেট তথা আলকায়দার অনেক লিফলেট ও কাগজ পত্র পাওয়া গিয়েছে , এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে অনেক সিডি ও পেন ড্রাইভ যার মধ্যে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে রয়েছে ঘৃণার প্রচুর উপাদান।
সূত্রের আরো খবর , শুধু ভিয়েনা নয় , অস্ট্রিয়া র আরেকটি বড়ো শহর ব্রিগেঞ্জ-এ বিস্ফোরণের প্ল্যান করেছিল এই জিহাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.