চিনা সেনাদের অভিসন্ধি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে: রাজনাথ সিং

কমান্ডারদের সম্মেলনে ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন চিনা সেনার দুরভিসন্ধির শেষ নেই। তাই প্রত্যেক মুহুর্তে সতর্ক থাকতে হবে। চিনের প্রতিটি পদক্ষেপ দখলদারি মনোভাবমূলক। সেই সব আগ্রাসী পদক্ষেপ ঠেকাতে হবে ভারতকে।

এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর ট্যুইট করেন রাজনাথ। সেখানে তিনি লেখেন, ভারতীয় সেনার প্রতিটি মুভমেন্টের জন্য গর্বিত তিনি। দেশের সম্পদ সেনা। দেশের প্রতিটি ইঞ্চিকে সুরক্ষা যোগাচ্ছে আমাদের সেনা।

এদিন দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার মত একাধিক বিষয় উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। চারদিনের সেনা কমান্ডার সম্মেলন শুরু হয়েছে ২৬শে অক্টোবর থেকে। এই সম্মেলনের দায়িত্বে রয়েছে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।

এরই মধ্যে, সীমান্তে নয়া স্ট্র্যাটেজি নিতে চলেছে ভারত। জানানো হয়েছে ২০২২ সালের মধ্যে তৈরি করা হবে ৫টি মিলিটারি থিয়েটার কমান্ড। এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনায় আসবে বড়সড় রদবদল। জানা গিয়েছে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএসের নেতৃত্বাধীন থাকবে এই পাঁচটি মিলিটারি থিয়েটার।

এদিকে, ভারতকে পাশে নিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে সবসময়ই আমেরিকা ভারতের পাশে রয়েছে। উল্লেখ্য দুদিনের সফরে ভারতে ছিলেন পম্পেও। এদিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কূটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তিনি।

চিন সঙ্গে টানাপোড়েন অব্যাহত ভারতের। এরই মধ্যে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর মার্কিনী বার্তায় রক্তচাপ বাড়বে চিনের, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। লাদাখে যেভাবে বারবার চিন আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, তাতে সীমান্ত পরিস্থিতি সুবিধার নয়। তবে তৈরি রয়েছে ভারত।

এদিন মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন বিশ্বের যে কোনও দেশের কাছ থেকে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত পড়লে পাশে থাকবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সীমান্তে কোনও আপোষ করা হবে না ও কোনও বহিরাগত শক্তির কাছে ভারত মাথা নত করবে না বলেও এদিন আশাপ্রকাশ করেছেন পম্পেও।

পম্পেও জানান, ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতেই তাঁদের এই সফর। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে দুই দেশ একযোগে কাজ করবে বলে জানান তিনি। এর আগে, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারের বৈঠকে জানা যায়, সামরিক ক্ষেত্রে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.