পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জইশ হামলার প্রত্যাঘাতে বালাকোটে ঠিক কত জঙ্গি নিধন করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা সেই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাঝেই ভারত-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, মায়ানমার সেনার সঙ্গে যৌথ অভিযানে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় জঙ্গিদের অন্তত ১০টি শিবির ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারত-মায়ানমার সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ‘আরাকান আর্মি।’ সেনা সূত্রে খবর, চিনের মদতপুষ্ট কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির এই জঙ্গি শাখার উপর নজর রাখার কাজ চলছিল অনেক দিন ধরেই। ড্রোন উড়িয়ে সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জঙ্গি দমন অভিযান ‘অপারেশন সানরাইজ’ শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত জঙ্গিদের ১০টি শিবির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
ভারত-মায়ানামার কালাদান প্রকল্পের বিরোধিতা করে হুমকি দিচ্ছিল এই জঙ্গি সংগঠন। সমুদ্র, নদী, সড়ক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন পরিবহন ও পরিষেবা সংক্রান্ত কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানসিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের জন্য মায়ানমারে ২,৯০৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল ভারত সরকার। এই প্রকল্পের ফলে কলকাতা ও মায়ানমার বন্দরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে। কলকাতা থেকে মিজোরামের দূরত্বও প্রায় এক হাজার কিলোমিটার কমে যাবে। এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার জন্যই হুমকি দিচ্ছিল আরাকান আর্মিরা।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মিজোরাম-মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকাতেই মূলত ঘাঁটি গেড়েছিল জঙ্গিরা। সেনা অভিযানে অন্তত ১০০০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম দফায় অভিযানটি চালানো হয় মিজোরাম সীমান্তে আরাকান আর্মির নতুন করে গড়ে ওঠা এই জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে। দ্বিতীয় দফার অভিযানে নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড-খাপলং এর ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়।