পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে জেহাদের স্বার্থে এক আল-কায়েদা ও ইসলামিক ষ্টেট

আমেরিকা ও ফ্রান্সকে ধ্বংস করার হুমকি দিলো আল-কায়েদা, আর এই ব্যাপারে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তারা পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে ইসলামিক স্টেটের।
কট্টর ইসলাম বিরোধী দেশ ইজরায়েলকে বরাবর সমর্থন করে যাওয়ার ফলে ইসলামের ঘৃণার পাত্র আমেরিকা, তাই আমেরিকা কে খতম করতে চায় আল-কায়েদা। এদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোগান তলে তলে আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটকে মদত জুগিয়ে যাচ্ছেন যা চিন্তায় রাখছে সি আই এ ও মোসাদকে।

মোটামুটি একই দোষে দোষী ফ্রান্স
তবে তাদের অপরাধ আরো গুরুতর। ইজরায়েলকে সমর্থন তো আছেই কিন্তু এরই সাথে একের পর এক ইসলামী বিরোধী আইন ফ্রান্স বলবৎ করেছে ফ্রান্স । এতেই রাগ আল-কায়েদার।
মুসলিম অভিবাসন নীতি ও এরই সাথে ফ্রান্সই বোরখা ও হিজাব নিষদ্ধ করা কোনো মুসলিমই ভালো মনে মেনে নেয়নি।
তাই আমেরিকা ও ফ্রান্স , এই দুই তথাকথিত মুসলিম বিরোধী দেশ কে খতম করতে বদ্ধপরিকর আল-কায়েদা।
এই মর্মে চরম সতর্কতাও জারি হয়েছে দুই দেশে।

অন্যদিকে মার্কিন ও ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে তুরস্ক এখন ইসলামিক স্টেট এর লজিস্টিকস হাব(Logistics hub) এ পরিণত হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের সবচয়ে বেশি মদত কারী হিসাবে এই মুহূর্তে পৃথিবীতে চিহ্নিত তুরস্কের কট্টর মুসলিম প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তাঁর বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট সহ বিভিন্ন জিহাদি গোষ্ঠীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দেবার অভিযোগ নতুন নয়। সূত্রের খবর , তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্ত (South border)নাকি জিহাদিদের অবারিতদ্বার ۔ এরদোগান এর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ বহু ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়দা জঙ্গিদের রক্ষাকবচ দেবার জন্য তিনি তাদের তুরস্কের নাগরিকত্ত ও প্রদান করেছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি আবার আমেরিকাকে ঘাঁটান না, কিন্তু জঙ্গিদের মদত জুগিয়ে যাচ্ছেন তলে তলে যা ভাবছে সি আই এ ও মোসাদকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.