সম্প্রতি রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের গতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। এই বিবৃতি মূলত মাতৃকালীন মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। এই বিবৃতিতে মৃত্যুর এমন পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে, কৈশোরসম্ভবার নিরিখেও বাংলা অন্য রাজ্যের থেকে। এগিয়ে আছে।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মঙ্গলবারে বাংলার কিছু তথ্য পেশ করা হয়। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এই তথ্য পেশ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমীক্ষার ওপরে তৈরি এই তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় যেখানে কৈশোরসম্ভবা ও মার্তৃকালীন মৃত্যুর হার কমানো জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পের ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সেখানে, এখনও যদি দুই বিষয়েই বাংলার হার বেশি থাকে, এই প্রকল্পের রূপায়ণ হওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর দাবি, “টিনেজ প্রেগন্যান্সি সবথেকে বেশি আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায়। তারপর আমাদের। এটা দীর্ঘকালীন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা। কন্যাশ্রী প্রকল্প হয়তো সেই সমস্যাকে আগামী দিনে আস্তে আস্তে পরিবর্তন নিয়ে আসবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন আনতে যে সামাজিক বিপ্লব দরকার, সেটা সর্বস্তর থেকে শিক্ষার হার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সহ নানা রকমের বিষয়ের সঙ্গে জড়িত তাই অত্যন্ত দ্রুত সেখানে সাফল্য অর্জন করা কষ্টকর।
2022-04-28