মাসুদকে বাঁচিয়েছি তাতে ভারতীয়রা আমাদের কি করে নেবে! সেই তো আমাদের প্রোডাক্ট কিনবে ভারতীয়রা: চীনের অহংকার

চীন খোলাখুলি ভারত বিরোধিতায় নেমে পড়েছে। চীন আগেও এটা করে এসেছে আর এখনো করছে। আজ চীন ভারতের বিরুদ্ধে ভিটো পাওয়ার ব্যাবহার করেছে। মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল আতঙ্কি ঘোষণা করতে চেয়েছিল ভারত, বহু দেশ ভারতকে এক্ষেত্রে সমর্থন করেছিল কিন্তু চীন ভিটো পাওয়ার ব্যাবহার করে মাসুদের সমর্থনে দাঁড়িয়ে গেছে। জানিয়ে দি, ভিটো পাওয়ার ভারতের কাছে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু নেহেরু এই পাওয়ার চীনকে দান করে দিয়েছে। যা দিয়ে চীন এখন ভারতের ক্ষতি করছে। আর ভারত আজও সংযুক্ত পরিষদের স্থায়ী মেম্বার হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। চীন এর আগেও মাসুদকে গ্লোবাল টেরোরিস্ট ঘোষণা করার পথে বাধা প্রদান করেছিল।

চীন অধিকারিক ঘোষণা না করলেও তার গতিবিধির মাধ্যমে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা ভারতের ক্ষতি করবেই। চীন ভারতের ক্ষতি করলেও ভারতের জনগণ চীনের কিছু করতে পারবে না। এটাই চীনের বড় অহংকার, যেটা স্বাভাবিক বিষয়। কারণ চীন বহুবার ভারতের বিরুদ্ধে ভিটো ব্যাবহার করেছে, ভারতের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। যারপরেও ভারতীয়রা চীনের প্রোডাক্ট লাগাতার কিনেই চলেছে।

চীন বার বার ভারতের ক্ষতি করে যারপর ভারতের রাষ্ট্রবাদীরা দেশের মানুষকে চাইনা প্রোডাক্ট বর্জন করার অনুরোধ জানাই। তা সত্ত্বেও ভারতের জনগণ চীনের প্রোডাক্ট কিনে চীনকে কোটি কোটি টাকা প্রদান করে। সেই টাকার কিছু অংশ চীন পাকিস্থানকে প্রদান করে ভারতের সৈনিক ও জনগণকে হত্যা করার উদ্যেশে ও ভারতের অর্থনীতিকে টমলিয়ে দিতে। চীন ভালোমত জানে যে ভারতীয়দের মধ্যে দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রবাদের অভাব রয়েছে তাই ভারতের হাজার ক্ষতি করলেও চীনের প্রোডাক্ট কিনতেই থাকবে ভারতীয়রা।

চীন এটাও জানে যে, মাঝে মধ্যে ভারতে চীনের বিরোধিতা হয় এবং অনেকে চাইনা প্রোডাক্ট বর্জন করে কিন্তু সেটা ২-৪ দিনের জন্য। ২-৪ দিন পর আবার চাইনা মাল কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পরে ভারতীয়রা। আগে ভারতীয়রা শুধুমাত্র চায়নার প্রোডাক্ট কিনতো আর এখন চীনের সোশ্যাল মিডিয়ার এপ্লিকেশন ডাউলোড করেও চীনকে কোটি কোটি টাকার মুনাফা দিচ্ছে। ভারত সরকার নিজের মতো করে চীনের কূটনীতির সাথে লড়াই করছে কিনরু অন্যদিকে ভারতীয়রা চীনের প্রোডাক্ট কিনে চীনের অর্থনীতি মজবুত করেই চলেছে। সরকার দায়িত্ব পালন করলেও ভারতীয়রা নাগরিক হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ।

জানিয়ে দি, চীন বিকশিত দেশ নয়, চীন একটা বিকাশীল দেশ। তাই চীনের জন্য তাদের ইকোনমি সবথেকে বেশি প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে চীন ভারতীয়দের উদারবাদী মানসিকতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতের পেছনেই ছুরি মারছে। পাকিস্থানের মাসুদ আজহারের মতো আতঙ্কবাদীরা অর্থের সাপ্লাই পায় চীন থেকে আর চীন অর্থ সাপ্লাই দেয় ভারত থেকে হওয়া প্রফিটের কিছু অংশ থেকে। তাই ভারতে যতবার আতঙ্কবাদী হামলা হয়, যতবার ভারতের সৈনিকরা প্রাণ হারায় ততবারের জন্য যতটা পাকিস্থান দায়ী ঠিক ততটাই চীনও দায়ী। একই সাথে চীনের প্রোডাক্ট ক্রয় করা ভারতীয়রাও দায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.