আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা প্লাসের (Delta plus) জেরেই ভারতে আসবে করোনা তৃতীয় তরঙ্গ (Corona 3rd Wave)। ইতিমধ্যেই দেশে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। যা রীতিমতন ভয় ধরাচ্ছে দেশবাসীকে। কিন্তু এই উদ্বেগের মধ্যে স্বস্তির খবর দিলে বিশেষজ্ঞরা। সরকারের জিনোমিক সার্ভিলেন্স প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা জানাচ্ছেন, এখনই এই ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে এখনই ভারতীয়দের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্ট অর্থাৎ AY.1 ভ্যারিয়্যান্ট ভারতে ৪০ জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে। দেশের করোনাভাইরাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য পরিবর্তনের উপর নজরদারি চালানোর জন্য কেন্দ্রের তরফে INSACOG নামক নিয়ামক সংস্থাটি গঠন করা হয়েছে, যার উপর সমস্ত ল্যাবগুলির উপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার উদ্যোগে ভাইরাসের জিনক্রোম সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেল্টা প্লাসের জন্যই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে এই ধরনের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, এই ভাইরাসের জেরে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে তারও কোনও প্রমাণ মেলেনি।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে মোট পাঁচজনের শরীরে করোনার এই নয়া প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।জানা যাচ্ছে, গত ২৩ মে মধ্যপ্রদেশের পতিদার হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ভোপালের একটি ল্যাবের তাঁর দেহের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার পর জানা যায়, ওই মহিলা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়্যান্ট দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ বলে অভিহিত করেছে। ডেল্টা প্লাসে ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি সহজেই ফুসফুসের কোষগুলিকে অবরুদ্ধ করে, এবং অ্যান্টিবডি দ্রুত হ্রাস করে। ভারত ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, চীন এবং রাশিয়ায় করোনার ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে সংখ্যার দিক থেকে ছোট হলেও এটিকে আর ছড়াতে দিতে চায় না কেন্দ্র।