চোখে মেলে তাকালেন সৌমিত্র,শারীরিক পরিস্থিতির সামন্য উন্নতি-তবে সংকটমুক্ত নন

সামন্য হলেও উন্নতি হয়েছে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতিতে। তবে এখনও বিপদমুক্ত নন অভিনেতা। গতকাল প্রথমবারের ডায়ালিসিসের জেরে আজ প্রবীন শিল্পীর চেতনা খানিক ফিরেছে। ডাকাডাকির পর বার কয়েক চোখ মেলে তাকিয়েছেন সৌমিত্রবাবু। আজ বর্ষীয়ান অভিনেতার দ্বিতীয় ডায়ালিসিস করা হয়েছে। তবে স্নায়ুর সমস্যা খানিকটা কেটেছে খবর বেলেভিউ হাসপাতাল সূত্রে। আজকের পর আগামিদিনে আরও ডায়ালিস করার প্রয়োজন হবে কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও আজ সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। গত ৪৮ ঘন্টায় সৌমিত্রর পরিস্থিতির কোনওরকম অবনতি হয়নি। 

দ্বিতীয়বার ডায়ালিসিস হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। আজই হবে দ্বিতীয় ডায়ালিসিস। এছাড়াও আরও একবার ডায়ালিসিস হবে সৌমিত্রবাবুর। আরও ডায়ালিসিস দরকার কি না, তখন হবে মূল্যায়ন। স্নায়ুর সমস্যা কেটেছে খানিকটা। মাঝেমধ্যে নিজেই চোখ মেলছেন, খবর বেলভিউ সূত্রে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, রক্ত দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সঙ্কটজনক থাকলেও, গত ৪৮ ঘণ্টায় হয়নি কোনও অবনতি। খবর বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে।

সোমবার দুপুর থেকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী তারকা। জানা গিয়েছে অভিনেতার শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫ শতাংশের আশেপাশে। তাঁকে ৪০-৫০ শতাংশ অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে- জানিয়েছেন সৌমিত্রর চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা এই ডাক্তার। 

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে রক্তক্ষরণের কারণে হিবোগ্লোবিনের মাত্রা কমেছে। ওষুধ দিয়ে তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে দুটি কিডনি স্বাভাবিক কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় শরীরে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটেনিনের মাত্রা যে অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গিয়েছিল,ডায়ালিসেসর পর তা নিয়ন্ত্রণে। কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে অভিনেতাকে। চিকিত্সক জানান- ‘ওঁনার কোনও জ্বর নেই, ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রয়েছে এবং শরীরের অনান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছে। 

একটানা ২৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি বাঙালির প্রিয় ফেলুদা। গত ৬ অক্টোবর করোনা পজিটিভ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি করা হয়েছিল বেলেভিউতে। দুৃ-সপ্তাহে করোনা মুক্ত হলেও কো-মরবিডিটি ও বয়সজনিত কারণে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে অভিনেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.