মেট্রো ডেয়ারির (Metro Dairy) শেয়ার বিক্রির মামলায় রাজ্যের অর্থ সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ চার জন আমলাকে নোটিশ ধরাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। অর্থ সচিব ছাড়াও রাজেশ সিংহ, রাজীব কুমার এবং ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে এই নোটিশ ধরানো হয়েছে। এই তিন আমলা গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সচিবে দায়িত্বে ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) প্রথম এই বিষয়ে সরব হন। কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, “ মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার সরকার জলের দরে বেচে দিয়েছে। ৪৭ শতাংশ শেয়ার জলের দামে বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। গোপন এই লেনদেনে মাত্র ৮৫ কোটি টাকা পেয়েছিল সরকার।” তিনি আরও বলেছিলেন, “কিছুদিনের মধ্যেই কেভেন্টার্স মেট্রোর ১৫ শতাংশ শেয়ার সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ডকে ১৭০ কোটি টাকায় বেচে দেয়। সেটাই যদি ভিত্তি ধরা যায়, তা হলে দেখা যাবে ৪৭ শতাংশ শেয়ার বেচে সরকারের ৫৩২ কোটি টাকা পাওয়া উচিত ছিল। সোজা হিসাবেই সরকারের প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।”
অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। কলকাতা হাইকোর্টে এবিষয়ে। মূল মামলা দায়ের করেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সেই মামলায় পক্ষ করা হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে। মেট্রো ডেয়ারির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে রাজ্য দুগ্ধ ফেডারেশন পরিচালনা করত প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর। মেট্রোতে কেভেন্টার্সের শেয়ার ছিল ৫৩ শতাংশ। রাজ্য দুগ্ধ ফেডারেশন তথা সরকারের হাতে ছিল ৪৭ শতাংশ। তার সবটাই রাজ্য সরকার বিক্রি করে দিয়েছে। তদন্তে নেমে ইডি জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড এই শেয়ার কিনেছিল, তাই ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট তথা ফেমা-র আওতায় তদন্ত হবে।
তবে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছিল, যাবতীয় শর্ত মেনেই মেট্রো ডেয়ারি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছিল। কোনও অস্বচ্ছতা নেই প্রক্রিয়া।