রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম ডোজ নিয়েও অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নেননি। এতবেশি সংখ্যক ডোজ দেওয়া হয়নি যে রাজ্য প্রশাসন চিন্তায় পড়েছে। জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, কোভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি এমন সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮৩ জন। অন্যদিকে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি এমন লোকের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৫ জন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই দুই ভ্যাকসিন মিলিয়ে ডোজের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাকি রয়েছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৮ জন। স্বাস্থ্য দফতরের এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, অনেক মানুষ এখনও প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও দ্বিতীয় ডোজ নেননি। পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা গিয়েছে, কলকাতায় সবচেয়ে বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেননি। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতায় দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ১৮৫ জন। এরপর উত্তর ২৪ পরগনায় দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়ার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৩০ জন। পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা রয়েছে, সেখানে কয়েক হাজার করে মানুষ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেননি।
এদিকে রাজ্যে এখনও করোনা সংক্রমণের মাত্রা কমেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৮২ জন। যেখানে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মাত্রা কম, সেই কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১২ জন। এরপরে আছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩ জন। প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৮ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৬ জন। এরমধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার ৭৪৮ জন। অন্যদিকে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছেন ২ কোটি ৪২ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮ জন।