#পর্ব_১
আধুনিক বিশ্বে অর্থাৎ উনিশ শতকের গোড়ার থেকে লৌকিক কাহিনী বা লোককথা এই বিষয়টি সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানী ,তুলনামূলক ভাষাতাত্ত্বিক ও লোকসংস্কৃতির সংগ্রাহকদের ব্যাপকভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশ্বের নানা দেশের সাধারণ মানুষের নিকট হতে লোককথা সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখলেন যে এমন সব লোককথা পাওয়া যাচ্ছে যেগুলির মধ্যে আছে আশ্চর্য মিল। সুপ্রাচীন ভারতে নানা পশু উপাখ্যান , লোককথা , রূপকথার গল্পগুলি তিব্বত, মিশর, গ্রিস, জর্জিয়া, আফ্রিকার ও দক্ষিণ আমেরিকার আরো নানা দেশ , ইতালি , ব্রিটেন , স্পেনে একই আকারে পাওয়া যায়। কেবল চরিত্রগুলির বাহ্যিক নাম বদলে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই উপলব্ধি হয় যে লোকগাথা গুলি কিছু কিছু দেশ হতে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। না হলে এমন সাদৃশ্য কিভাবে সম্ভব?
এই সহজ ও স্বাভাবিক বিশ্বাস থেকেই লোককথার দেশে দেশে পরিভ্রমণের তত্ত্ব গড়ে ওঠে। কোনো কোনো প্রাঞ্জ গবেষক পরিভ্রমণের ভৌগলিক মানচিত্রও ব্যাখ্যা করেন । এইভাবেই তত্ত্বটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। #থিওডর_বেনফে প্রমান করেছেন যে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া লোককথা এমন কি ওল্ডটেস্টামেন্টে উল্লিখিত এমন বহু কাহিনী আছে যার মূল উৎস সুপ্রাচীন জম্বুদ্বীপ অর্থাৎ আমাদের গর্বের ভারতবর্ষ। এটাই পৃথিবী গ্রাহ্য। তবে কিছু গল্প আফ্রিকা হতেও উৎপন্ন হয়েছিল। নিন্দুকেরা বিরোধিতা করল। বলল তা কি করে হয়? সাদা চামড়ার মানুষের গল্প গ্রহণ করা হয়েছে কালো চামড়ার গরিবদের থেকে…প্ৰবল বিরোধিতা শুরু হল।
ভারত , আফ্রিকা এবং ইউরোপের একটি রূপকথা হঠাৎ সব চিন্তাকে এলোমেলো করে দিল। সেই রূপকথার উৎপত্তি এমন সময়ে ছিল যে সময় ইউরোপ, আফ্রিকা বা ভারতের তেমন ভাবে যোগসূত্র ছিল না। যদিও মিশর,সুমার, আসিরিয়, ব্যাবিলনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই রূপকথার নাম হল #স্নো_হোয়াইট_এন্ড_দ্য_সেভেন_ডোয়র্ফস। হ্যাঁ আমাদের #তুষারমালা আর আফ্রিকার #জাদুআয়না_ও_সুন্দরী_মেয়ে।
এরম বলা হয় এই রূপকথাটি আফ্রিকার কংগো অববাহিকার এক গ্রাম থেকে সংগৃহীত। প্রসঙ্গত ভারতে পর্তুগিনিজদের আগমন ঘটে ১৪৯৮ সালে । তারও বহু আগে থেকেই ভারতের সঙ্গে উত্তর আফ্রিকার নানা দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। খ্রিস্টীয় পুরাণ অনুসারে প্রথম শতাব্দীতে সিরিয়াতে যখন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার শুরু হয় তখন ইহুদিরা নাজারেথের যীশু কে ক্রুশবিদ্ধ করেছিল এবং জোর করে ইহুদী ধর্ম বিনষ্ট করার প্রতিবাদে তারা খ্রিস্টানদের উচিত শিক্ষা দিতে শুরু করেছিল ।এই সময় তারা ভারতে আসার পথের কথা জানত তারা ভারতে পালিয়ে আসে এবং জামরিয়ার রাজার কাছে আশ্রয় ভিক্ষা করে ।হিন্দু রাজার পক্ষেই বিদেশীদের উপর কোন শর্ত আরোপ না করে নিজের উপকূলে নামতে দেওয়া সেদিন উচিত হয়নি। কিন্তু হিন্দু জাতি সদ্গুণ সমূহের বিকৃতির যে ব্যধিতে ভুগছে তা থেকে সেদিনের মালাবার সম্রাটও মুক্ত ছিলেন না। তিনি তাঁর রাজ্যের একটি এলাকায় এই সিরিয়ান খ্রিস্টানদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দিলেন।
তিনি তাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের ভীতর এক স্বতন্ত্র জাতি রূপে বসবাসের অধিকার দিয়ে তাম্রপত্ত লিখে দিলেন। ধীরে ধীরে এই সিরিয়ান খ্রিস্টানরা লক্ষ্য করলো যদি হিন্দুদের কেউ তাদের সাথে পানভোজন করে তাহলে সে জাতিচ্যুত হচ্ছে । দেখে শুনে তারা নিজ মূর্তি ধারণ করল এবং এই সুযোগ নিয়ে ধীরে ধীরে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের অশুভ উদ্যোগ শুরু করল ।
প্রথম শতাব্দীতে ইংল্যান্ড দেশে একজনও খ্রিষ্টান ছিল না । কিন্তু ভারতে হিন্দুদের কপটতা পূর্বক খ্রিস্টানি করন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডে খ্রিস্টান ধর্ম কিভাবে প্রচারিত হয়েছিল তা হিন্দু মাত্রেই পাঠ করা উচিত ।। স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে শত্রুর ধর্মান্তর অভিযান পরিচালনায় পোষকতা করার মতো সুযোগ আমাদের ধর্মে প্রায় ২০০০ বছর আগে থেকে বিদ্যমান ছিল।
যাক, এর বহু পরে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ফরাসি ও পর্তুগিজহানাদারেরা কংগো অঞ্চলে উপস্থিত হয়। পাকাপাকি ভাবে দখল নেয় শতকের শেষদিকে। সেও মোটামুটি সমুদ্রকুলের নিকটের এলাকায়। দূর গ্রামীন এলাকায় আধিপত্য ছড়াতে শুরু করে মিশনারীর।
এবার সেই রূপকথায় তুষারমালা , সৎ মা বা মা, রাজা , রাজপুত্র আর সাত বামন ছিল। ইউরোপে সেই সাত বামন কাঠ কাটত। আফ্রিকায় তারাই হল সাত জন ডাকাত। তুষারমালাকে গলায় ফিতে জড়িয়ে মেরেছিল, ভারতের কোথাও সে বিষাক্ত আপেল খেয়েছিল। ইউরোপে সে বিষাক্ত আপেলেই মরেছিল। আর আফ্রিকায় সে মেয়ের নাম নেই। সে অনামিকা হয়েছে। তার মাথায় বিষাক্ত কাঁটার আঘাত।
সমান ভাবে জাপানে খুব প্রচলিত আছে রাজকন্যা হেসের কাহিনী।
১৯০০ খ্রিস্টাব্দে কংগোর দূর গ্রাম থেকে এক মিশনারী প্রথম এই রূপকথাটি সংগ্রহ করে। তার নাম ছিল রেভারেন্ড রবার্ট হামিল নাসাউ। সেই সব রূপকথা ১৯০৪ সালে গ্রন্থ হিসাবে প্রকাশিত হয়।
এর প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে এক পর্তুগিজ ভাড়াটে সৈন্য জাহাজ ডুবি থেকে রক্ষা পেয়ে কংগো উপকূলে আসে।বহুকাল সেই সৈনিক এক গ্রামে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। সেখানে সে স্থানীয় মপোংগোয়ে ভাষা শিখেছিল। বহুকাল পরে কিভাবে যেন সে দেশে ফিরে যায়। দেশে ফিরে সে সেই রূপকথাটি লিখে রেখেছিল। সে বোধয় স্নো হোয়াইটকে চিনত না। কেন না তার লেখায় কোনো আপেল সুন্দরীর কথা উল্লিখিত হয় নি। বহুকাল পরে তার লেখা গল্পটি তার পরিবার থেকে পাওয়া …. কিন্তু তার তেমন প্রচার বা ভাষান্তর কেউ করেনি।
এই তুষারমালা বা স্নো হোয়াইট অনেকেই জার্মানির বলেও দাবি করেন। আবার মধ্য এশিয়ার মরু অঞ্চলে , হাঙ্গেরি, রাশিয়া, মঙ্গলিয়া মানুষের মধ্যেও এমন বহু রূপকথার প্রচলন আছে। এদের কিয়দংশ মেলে কিয়দংশ মেলে না। কোথাও মূল মোটিফ একই থাকে।
কোন দেশ হতে কোন গল্প কোন দেশে গেছে ,কোথায় সে জনপ্রিয় হয়েছে তার সূত্র কে ? কে জানে? আপনারা জানেন?
কি বললেন ? গ্রিম ভাইরা? না না…ওনারা হয়ত সংগ্রাহক ….উৎপত্তি বা লেখক নন। আফ্রিকার গল্প একটু আলাদা। সেখানে নিজের মাই মেয়েকে হিংসা করত। সেখানে জাদু কম । বাস্তবতা অধিক।
এসব লোককথা কতক সংগ্রহ হয়েছিল । কতক নয়। ভারতে ও আফ্রিকা উভয় স্থানেরই হয়। নাসাউ এর “ফিতিশিজম ইন ওয়েস্ট আফ্রিকা ” নামক গ্রন্থে এসব সংগৃহিত আছে। প্রসঙ্গত ভারত এবং আফ্রিকার সুপ্রাচীন মানুষজন অচেতন বস্তুতে প্রাণকে বাঁচিয়ে রাখার বিশেষ পদ্ধতি জানতেন। উক্ত গ্রন্থে নাসাউ সে বিষয় উল্লেখও করেছেন। সে গ্রন্থ তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজে তেমন প্রচলিত নয়। তাই তারা গ্রিম ভাইকে নিয়ে খুশি থাকেন। সে গ্রন্থে এমন এক প্রাচীন রূপকথা আছে তা তাই আর কেউ জানলেই না।
যা হোক, উক্ত লোককথা কিন্তু সম্পূর্ন মাইগ্রেশন হয় নি। তুষারমালা বা আফ্রিকার মেয়ে বা জাপানের হেস নিজের মতো করে স্বাধীন। আবার ইউরোপের স্নো হোয়াইট নিজেকে তুষারমালা বা আফ্রিকার মেয়ে বা জাপানের হেস বলতে দ্বিধা বোধ করে। যদিও উৎপত্তি তার সেখান হতেই।
যাক, এবার আমি সেই সব গবেষকদের তৈরী মিথ ভাঙি।ভারতের বাইরে ভারতীয় সভ্যতা বিস্তার এবং ভারতীয় উপনিবেশ স্থাপনের গরিমাময় অধ্যায় আমাদের ইতিহাস হয়তো অনেক সময়ই উপেক্ষা করে যায় । উত্তরের বিশাল হিমালয় পর্বত আর তিন দিকে উত্তাল সমুদ্র ভারতবাসীর কর্মপ্রচেষ্টা ভারতবর্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। সমস্ত বাধা ,বিঘ্ন ,ঝড় কে অতিক্রম করে সে বিকশিত করার চেষ্টা করে চলেছে নিজেকে। সে এক অসীম ত্যাগ , সাধনার , সাহস, বীর্য ,কর্মকুশলতার ইতিহাস ।
কিন্তু নিতান্ত দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় যে ইতিহাসে অধিকাংশই আজ লোকচক্ষুর অন্তরালে ,কালের অন্তরালে । বিভিন্ন দেশের পণ্ডিতদের প্রচেষ্টার ফলে যে সামান্য অংশ উদঘাটিত হয়েছে তার মহিমা তে আমাদের মস্তক শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে আসে। আর বারবার মনে হয় বিধাতার কি অভিশাপেই না তাদের বংশধরদের বর্তমানে এই দুরবস্থা।
আমি আজকে যে ইতিহাস বলবো তাতে হয়তো আপনাদের মনে হবে না কবির এই লাইন, “ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুইন “, বরং আপনার মনে হবে আমরা বারে বারে যেন এই ভারতের বুকে, যুগে যুগে যেন ভারতীয় হয়ে এই ভারতের মাটিতে জন্ম গ্রহণ করতে পারি।
এর আগে বলে নি , যে ভারতীয়রা কিন্তু সনাতনে বিশ্বাসী ছিল । সনাতন ধর্ম সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করার জন্য যথেষ্ট সাহস জুগিয়ে থাকে। শুধু ভারত কেন ? একটা সময় সারা পৃথিবী ছিল সনাতনী।
মনুর সময় ও তার পরবর্তী প্রজন্ম গুলো সমুদ্র পথে ক্রমশ যাতায়াত করেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে , ভারতের মান উজ্জ্বল করেছে। বঙ্গ, উড়িষ্যা , অন্ধ্র, তামিল , মালাবার , গুজরাট সমুদ্র উপকূল সকল প্রদেশের লোকই অবাধে যাতায়াত করতেন। তাঁরা বাণিজ্য করে ভারতে ধন সম্পদ বৃদ্ধি করেছে তা নয়, ভারতীয় যোদ্ধারা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন । অসংখ্য ধর্মপ্রচারক মহাপুরুষ ভারতীয় ধর্মের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। শিল্পীরা কলা নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন। কৃষক তার উত্তম ফসল উৎপাদন করেছেন ।
সিলভা লেভির মতে পারস্য থেকে চীন সাগর ,বরফে ঢাকা সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে যব দ্বীপ ও বোর্নিও, অসিয়ানিয়া থেকে সাকট্রা পর্যন্ত ভারত বর্ষ ধর্মমত, প্রতিভা ও সভ্যতার বিস্তার করেছে ; বহু শতাব্দী ধরে এ সমস্ত পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ মানব মনের উপর এমন ছাপ এঁকেছে যা মুছে ফেলা যায় না।
ভারতবর্ষের উপনিবেশ গুলোর বৃস্তিতি নিতান্তই কম ছিল না । চম্পা , কম্বোজ, শ্যাম , যব দ্বীপ, বলিদ্বীপ, সুমাত্রা , বোর্নিও দ্বীপ , সিংহল, খোটান একসময় ভারতীয় উপনিবেশ ছিল । ফিলিপিন্স, মাদাগাস্কার দ্বীপ ভারতএর এক অংশ ছিল অর্থাৎ একসময় ভারত বর্ষ জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন গ্রহণ করেছিল।
ভারতীয় সভ্যতার প্রভাব উপরুক্ত দেশসমূহ ছাড়াও চীন , তিব্বত, কোরিয়া, জাপান , মধ্য এশিয়ার তুরফান , কুচা, শানশান, কাশগর, তুর্কি জাতীয় খানদের রাজত্ব, পূর্ব পারস্য, সগদিয়ানা ( সমরখন্দ ও বোখারা নামে পরিচিত) ,বলহিক, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশে বিস্তার লাভ করেছিল । কাবুল উপত্যকা বহুদিন ভারত উপমহাদেশের অংশ ছিল।
মধ্য এশিয়ার তুরফান , কুচা, শানশান, কাশগর, যে প্রাচীন লিপির নমুনা পাওয়া যায়, সেই প্রাচীন লিপি ছিল খরোষ্ঠী বা ব্রাহ্মভি ।
একসময় সংস্কৃত চর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল কুচা। তিব্বতের লিপি হল কাশ্মীরের প্রচলিত ব্রাহ্মী লিপির কিছু পরিবর্তিত সংস্করণ । টমাস এর মতে এটি তিব্বতকে ভারতের শ্রেষ্ঠ দান ।
চীনা ভাষার উন্নতিকল্পেও ভারতীয়দের দান রয়েছে । ইউয়ান চোয়াং এর সময় অর্থাৎ সপ্তম শতাব্দীতে দাক্ষিণাত্য থেকে জাপানের নারা এবং তুফান থেকেই সুমাত্রা পর্যন্ত সংস্কৃতির প্রভাব ও আধিপত্য ছিল। চীনের চিত্রকলা হল ভারতীয় আদর্শবাদ এবং চীনের সৌন্দর্য-প্রতিভা এই দুইয়ের মিলনী উৎপন্ন সুসন্তান ।
বৌদ্ধ শিল্পকলা চীন থেকে কোরিয়া এবং কোরিয়া থেকে জাপানের যায় । ভারতীয় উপনিবেশ সমূহে ভারতীয় ধর্ম ও সাহিত্য ও শিল্পকলার প্রভাব যথেষ্ট পরিমাণে ছিল ।
ভারতীয় সাহিত্যে যেমন রামায়ণ-মহাভারতের প্রভাব ছিল , যব দ্বীপ সাহিত্যতেও ঠিক তেমনি দেখা যায় । ভারতের মতো ওই স্থানের মন্দিরে রামায়ণ মহাভারত হরিবংশ প্রভৃতি আখ্যায়িকা অবলম্বনে অঙ্কিত। ভূধর এবং কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দির ভারতীয় শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন সমস্ত জগতের শ্রদ্ধাপূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ।
যদি উন্নত ও মহান আদর্শকে বাস্তব রূপ দেওয়ার উপর শিল্পের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ভর করে তবে বড় ভূধর জগতের উচ্চাঙ্গের কীর্তি সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম আসন পাওয়ার যোগ্য ।
ক্রমশঃ
#দুর্গেশনন্দিনী
তথ্যঃ লোককথার লিখিত ঐতিহ্য