নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও? ‘টালিগঞ্জে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল’, আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। ফের জেল হেফাজতে তৃণমূল যুবনেতা। শুধু তাই নয়, জেলে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থাকে জেরার অনুমতি দিল আদালত।
মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন কুন্তল। অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি ও ম্যারাথন জেরার পর, কুন্তলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই এই যুবনেতাকেও দল থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
গ্রেফতারির পর ৫ দিন ইডি হেফাজতে ছিলেন কুন্তল। এদিন ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। ইডি-র দাবি, ‘বিনোদন জগতে ব্যবসার জন্য পার্টনারশিপে ফার্ম খুলেছিলেন কুন্তল’। এমনকী, বিনিয়োগও করেছিলেন শর্ট ফিল্ম ও মিউজিক ভিডিয়োতেও! কীভাবে? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ‘কুন্তলের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। কুন্তল ও সহযোগীদের মাধ্যমেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে’।
এর আগে, কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে টেটের অ্যাডমিট কার্ড, OMR শিটের কয়েকশো প্রতিলিপি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। ঘটনার বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার শুনানি বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে? কী হচ্ছে এটা? ED-কে ডেকে জিজ্ঞাসা করব। কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কাউকে রেয়াত করব না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা। দুর্নীতি ঢাকার তেষ্টা বরদাস্ত নয়’। এমনকী, কুন্তল ঘোষের বাড়িতে কাদের OMR শিট ও অ্য়াডমিটের প্রতিলিপি পাওয়া গিয়েছে? কেনইনা তাঁরা পরীক্ষার নথি জমা দিয়েছিলেন? ইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।